ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

মাহমুদুর রহমান: জুলাই বিপ্লব ইসলামপ্রিয় লেখক-সাংবাদিক মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

মাহমুদুর রহমান: জুলাই বিপ্লব ইসলামপ্রিয় লেখক-সাংবাদিক মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে।

 

ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, কয়েকটি বড় পত্রিকার দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের পারিপার্শ্বিকতায় বিশিষ্টজন হতে হলে ভারতপন্থি ও ইসলাম বিদ্বেষী হতে হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের জুলাই বিপ্লব আমাদের দেশের ইসলামপ্রিয় লেখক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে।

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে দেশের প্রথিতযশা তিন সম্পাদককে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ১২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত তিন সম্পাদক হলেন, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব। জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিকুজ্জামানের স্বাগত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমার দেশ সম্পাদক বলেন, নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের ইসলামপ্রিয় লেখক ও সাংবাদিকরা তাদের মেধার মূল্যায়ন পান না। এক্ষেত্রে ওআইসিরও কোনো ভুমিকা নেই। মুসলিম লেখকরাও পশ্চিমা বিশ্বের দেয়া পুলিৎজার কিংবা নোবেল পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে আছেন তাদের মেধার মূল্যায়নের জন্য। এটাই মুসলিম বিশ্বের ব্যর্থতা। এ কারণে আমাদের আবুল আসাদ ও আলমগীর মহিউদ্দীনের মতো প্রতিথযশা সাংবাদিক ও সম্পাদকরা মূল্যায়ন পান না।

৫ আগস্টের পরে এই বৃত্ত ভাঙার সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জন্য। আমি মনে করি মানরাত ইউনিভার্সিটি সেই বৃত্ত ভাঙার চেষ্টা করছে আজকে সম্পাদকবৃন্দকে সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাস জানতে হলে সম্পাদকদের এই লড়াই জানতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় একটা ভারতের দালাল সরকার ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা ছিল যে সেই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছিল। কিন্তু আমি তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে নয়া দিগন্তে সম্পাদকীয় পাতায় লিখতে শুরু করি। এ জন্য ডিজিএফআইয়ের হুমকি ধমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল নয়া দিগন্ত কর্তৃপক্ষকে। তারা হুমকি উপেক্ষা করে আমার লেখা ছাপিয়েছিল।

তিনি দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি শুধুমাত্র ইসলামপ্রিয় মানুষ হওয়ার কারণে মেধার সঠিক মূল্যায়ন পাননি।

অনুষ্ঠানে দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ বলেন, আমাদের দেশে যে অসত্য বা হলুদ সাংবাদিকতার কথা বলা হয় এ জন্য দায়ি সাংবাদিকরা নন। এ জন্য দায়ি যারা সাংবাদিকদের খাটান বা আরও ওপরে আছেন তারা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আজকে সংবর্ধনা দেওয়া দেশের প্রতিথযশা তিন গুণী সম্পাদকের মাঝে তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জন্য আমরা তাদেরকে সংবর্ধনা দিতে পেরে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মিনারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব সংবর্ধনাপ্রাপ্ত তিন সম্পাদককে জীবন্ত কিংবদন্তি উল্লেখ করে বলেন, তাদেরকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার বা বলার নেই। তারা বাংলাদেশ তথা এশিয়ার সাংবাদিকতার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। আগামী দিনে তারা তাদের কলমকে শানিত করে আরও উচ্চকিত কণ্ঠে জাতিকে পথ দেখাবেন আশা করছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৮৯ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুর রহমান: জুলাই বিপ্লব ইসলামপ্রিয় লেখক-সাংবাদিক মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে

আপডেট সময় ০৪:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাহমুদুর রহমান: জুলাই বিপ্লব ইসলামপ্রিয় লেখক-সাংবাদিক মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে।

 

ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, কয়েকটি বড় পত্রিকার দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের পারিপার্শ্বিকতায় বিশিষ্টজন হতে হলে ভারতপন্থি ও ইসলাম বিদ্বেষী হতে হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের জুলাই বিপ্লব আমাদের দেশের ইসলামপ্রিয় লেখক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে।

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে দেশের প্রথিতযশা তিন সম্পাদককে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ১২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত তিন সম্পাদক হলেন, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব। জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিকুজ্জামানের স্বাগত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমার দেশ সম্পাদক বলেন, নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের ইসলামপ্রিয় লেখক ও সাংবাদিকরা তাদের মেধার মূল্যায়ন পান না। এক্ষেত্রে ওআইসিরও কোনো ভুমিকা নেই। মুসলিম লেখকরাও পশ্চিমা বিশ্বের দেয়া পুলিৎজার কিংবা নোবেল পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে আছেন তাদের মেধার মূল্যায়নের জন্য। এটাই মুসলিম বিশ্বের ব্যর্থতা। এ কারণে আমাদের আবুল আসাদ ও আলমগীর মহিউদ্দীনের মতো প্রতিথযশা সাংবাদিক ও সম্পাদকরা মূল্যায়ন পান না।

৫ আগস্টের পরে এই বৃত্ত ভাঙার সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জন্য। আমি মনে করি মানরাত ইউনিভার্সিটি সেই বৃত্ত ভাঙার চেষ্টা করছে আজকে সম্পাদকবৃন্দকে সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাস জানতে হলে সম্পাদকদের এই লড়াই জানতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় একটা ভারতের দালাল সরকার ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা ছিল যে সেই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছিল। কিন্তু আমি তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে নয়া দিগন্তে সম্পাদকীয় পাতায় লিখতে শুরু করি। এ জন্য ডিজিএফআইয়ের হুমকি ধমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল নয়া দিগন্ত কর্তৃপক্ষকে। তারা হুমকি উপেক্ষা করে আমার লেখা ছাপিয়েছিল।

তিনি দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি শুধুমাত্র ইসলামপ্রিয় মানুষ হওয়ার কারণে মেধার সঠিক মূল্যায়ন পাননি।

অনুষ্ঠানে দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ বলেন, আমাদের দেশে যে অসত্য বা হলুদ সাংবাদিকতার কথা বলা হয় এ জন্য দায়ি সাংবাদিকরা নন। এ জন্য দায়ি যারা সাংবাদিকদের খাটান বা আরও ওপরে আছেন তারা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আজকে সংবর্ধনা দেওয়া দেশের প্রতিথযশা তিন গুণী সম্পাদকের মাঝে তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জন্য আমরা তাদেরকে সংবর্ধনা দিতে পেরে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মিনারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব সংবর্ধনাপ্রাপ্ত তিন সম্পাদককে জীবন্ত কিংবদন্তি উল্লেখ করে বলেন, তাদেরকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার বা বলার নেই। তারা বাংলাদেশ তথা এশিয়ার সাংবাদিকতার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। আগামী দিনে তারা তাদের কলমকে শানিত করে আরও উচ্চকিত কণ্ঠে জাতিকে পথ দেখাবেন আশা করছি।