ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ছুটিতে পাঠানো বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন Logo সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জুলাই ৩৬ বিশ্বদ্যিালয়’ রাখার প্রস্তাব Logo রাজনৈতিক দল গঠন বা পদত্যাগের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা নাহিদ Logo জুলাই বিপ্লব: ময়নাতদন্তে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি Logo যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত যত বিমান দুর্ঘটনা Logo টিকটকে লাইভের সময় গুলি করা হয় কোরআন পোড়ানো মোমিকাকে Logo বাটলার কোচ থাকলে গণ অবসরের হুঁশিয়ারি নারী ফুটবলারদের Logo রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা Logo দুদকের মামলায় সাবেক এমপি মিজানুরের ৮ বছরের কারাদণ্ড Logo হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামিদের আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা।

বাঁচা-মরার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিলো খুলনা টাইগার্স। সোহানদের ৪৬ রানে হারিয়ে চলতি বিপিএলে তারা বাঁচিয়ে রাখলো প্লে অফের আশা।

মিরপুরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) খুলনার দেয়া ২২১ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থেমেছে রংপুর। খুলনার হয়ে ২৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার মুশফিক হাসান।

 

এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা টিকে আছে প্লে অফের লড়াইয়ে। পরের ম্যাচ জিতলে তারা দুর্বার রাজশাহীকে পেছনে ফেলে জায়গা করে নেবে টেবিলের চারে। কারণ পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে যাবে তাসকিনরা।
 
এদিকে টানা ৮ জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করার পর আর জয়ের মুখ দেখেনি রংপুর। হেরেছে টানা চার ম্যাচে। এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। দলের খাতায় ১১ রান যোগ হতে বিদায় নেন তৌফিক খান (৯)। দলীয় ৩৬ রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান সাইফ হাসান (৬)। তৃতীয় উইকেটে ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। তবে পাকিস্তানি ব্যাটার ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। ১৫ বলে ১৯ রান করে আউট হন ইফতিখার। এরপর মেহেদী হাসান অবশ্য কার্যকরী ইনিংস খেলে রংপুরকে সহায়তা করেন। ১৪ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। অপরপ্রান্তে আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য।
 
দলকে আশায় রেখে তিনি শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও সফল হননি। ৪৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রান করে শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন সৌম্য। তার সঙ্গে জুটি গড়ে রংপুরকে আশা জাগানো অন্য দুই ব্যাটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১০ বলে ১৮ আর রাকিবুল হাসান ৬ বলে ১৪ রান করে আউট হন।
 
 
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া মেহেদী হাসান মিরাজের দল ওপেনার নাঈম শেখের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান সংগ্রহ করে। খুলনাকে ঝড়ো সংগ্রহ এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ-নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটি। ৩.৪ ওভারেই ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। মিরাজকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ১ চার ২ ছয়ে ২১ রান করেন মিরাজ।  
 
ওয়ান ডাউনে নামা অ্যালেক্স রস বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। ১৪ বলে ১২ রান করেই রান আউটে কটা পড়েন এই অজি। খুলনার স্কোর তখন ৭.২ ওভারে ৬০।
 
তৃতীয় উইকেট আরেক অস্ট্রেলিয়ান উইলিয়াম বসিস্তোর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন নাঈম। ৪৫ বলে ৮৮ রান যোগ হয় এই জুটিতে। বসিস্তোকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন আকিফ জাভেদ। ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ রান করেন এক সময় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেয়া বসিস্তো।
 
 
চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে আরও একটা দুর্দান্ত জুটি গড়েন নাঈম। ২৯ বলে ৭০ রান যোগ হয় এই জুটিতে।অঙ্কন ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করে ইফতিখার আহমেদের শিকারে পরিণত হন। তবে ততক্ষণে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেছেন নাঈম। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আবু হায়দারও ১রান করে অপরাজিত থাকেন।
 
রংপুরের পক্ষে আকিফ জাভেদ, ইফতিখার আহমেদ এবং শেখ মেহেদী ১টি করে উইকেট শিকার করেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা

আপডেট সময় ১০:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা।

বাঁচা-মরার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিলো খুলনা টাইগার্স। সোহানদের ৪৬ রানে হারিয়ে চলতি বিপিএলে তারা বাঁচিয়ে রাখলো প্লে অফের আশা।

মিরপুরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) খুলনার দেয়া ২২১ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থেমেছে রংপুর। খুলনার হয়ে ২৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার মুশফিক হাসান।

 

এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা টিকে আছে প্লে অফের লড়াইয়ে। পরের ম্যাচ জিতলে তারা দুর্বার রাজশাহীকে পেছনে ফেলে জায়গা করে নেবে টেবিলের চারে। কারণ পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে যাবে তাসকিনরা।
 
এদিকে টানা ৮ জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করার পর আর জয়ের মুখ দেখেনি রংপুর। হেরেছে টানা চার ম্যাচে। এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। দলের খাতায় ১১ রান যোগ হতে বিদায় নেন তৌফিক খান (৯)। দলীয় ৩৬ রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান সাইফ হাসান (৬)। তৃতীয় উইকেটে ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। তবে পাকিস্তানি ব্যাটার ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। ১৫ বলে ১৯ রান করে আউট হন ইফতিখার। এরপর মেহেদী হাসান অবশ্য কার্যকরী ইনিংস খেলে রংপুরকে সহায়তা করেন। ১৪ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। অপরপ্রান্তে আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য।
 
দলকে আশায় রেখে তিনি শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও সফল হননি। ৪৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রান করে শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন সৌম্য। তার সঙ্গে জুটি গড়ে রংপুরকে আশা জাগানো অন্য দুই ব্যাটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১০ বলে ১৮ আর রাকিবুল হাসান ৬ বলে ১৪ রান করে আউট হন।
 
 
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া মেহেদী হাসান মিরাজের দল ওপেনার নাঈম শেখের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান সংগ্রহ করে। খুলনাকে ঝড়ো সংগ্রহ এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ-নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটি। ৩.৪ ওভারেই ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। মিরাজকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ১ চার ২ ছয়ে ২১ রান করেন মিরাজ।  
 
ওয়ান ডাউনে নামা অ্যালেক্স রস বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। ১৪ বলে ১২ রান করেই রান আউটে কটা পড়েন এই অজি। খুলনার স্কোর তখন ৭.২ ওভারে ৬০।
 
তৃতীয় উইকেট আরেক অস্ট্রেলিয়ান উইলিয়াম বসিস্তোর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন নাঈম। ৪৫ বলে ৮৮ রান যোগ হয় এই জুটিতে। বসিস্তোকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন আকিফ জাভেদ। ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ রান করেন এক সময় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেয়া বসিস্তো।
 
 
চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে আরও একটা দুর্দান্ত জুটি গড়েন নাঈম। ২৯ বলে ৭০ রান যোগ হয় এই জুটিতে।অঙ্কন ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করে ইফতিখার আহমেদের শিকারে পরিণত হন। তবে ততক্ষণে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেছেন নাঈম। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আবু হায়দারও ১রান করে অপরাজিত থাকেন।
 
রংপুরের পক্ষে আকিফ জাভেদ, ইফতিখার আহমেদ এবং শেখ মেহেদী ১টি করে উইকেট শিকার করেন।