রোহিত শর্মার জন্য আরও কঠিন সিদ্ধান্ত আসতে পারে, ইঙ্গিত গাভাস্কারের
ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে। বিসিসিআই এবং নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগারকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই দায়িত্ব এখন তুলে দেওয়া হয়েছে তরুণ ওপেনার শুভমান গিলের কাঁধে। এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট মহলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
এই প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার জানান, রোহিতের অধিনায়কত্ব হারানোই শেষ নয়, সামনে আরও কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হতে পারেন তিনি। গাভাস্কারের মতে, “যদি কোনো খেলোয়াড় আগামী দুই বছরের পরিকল্পনায় নিজেকে অবিচ্ছেদ্যভাবে প্রমাণ করতে না পারেন, তবে তাকে আরও খারাপ খবরের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
গাভাস্কার আরও ব্যাখ্যা করেন, রোহিত এখন শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটে সক্রিয় আছেন, কারণ তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সূচিতে ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। বছরে গড়ে ৫-৭টি ম্যাচ খেলে বড় আসরের জন্য নিজেকে তৈরি রাখা কঠিন। এ কারণেই নির্বাচকেরা ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখন থেকেই শুভমান গিলকে দলে গড়ে তুলতে চাইছেন।
তিনি বলেন, রোহিত নিজেও বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। ২০২৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই তরুণ নেতৃত্বকে গড়ে তোলার উদ্যোগকে তিনি দলের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
২০২৭ সালের বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা খেলবেন কি না, তা নিয়ে এখনই সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, তখন তার বয়স হবে প্রায় ৪০ বছর, আর কোহলির ৩৯। দুজনেই বর্তমানে শুধুমাত্র ওয়ানডে খেলছেন, কিন্তু দেশে এই ফরম্যাটে সিরিজের সংখ্যা খুবই সীমিত। ফলে প্রয়োজনীয় ম্যাচ ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
গাভাস্কারের পরামর্শ, আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সীমিত সুযোগ পেলে রোহিত ও কোহলির উচিত ঘরোয়া টুর্নামেন্ট, বিশেষ করে বিজয় হাজারে ট্রফির মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। তবেই তারা নিজেদের ফর্ম ও ফিটনেস ধরে রাখতে পারবেন।
জানা গেছে, আগামী বিশ্বকাপের আগে ভারত অন্তত ২৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। তবে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকবে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
আগামী ১৯ অক্টোবর শুরু হচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের পারফরম্যান্স এই সিরিজেই ঠিক করে দিতে পারে ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কোন পথে যাবে।