ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গুলিবর্ষণে নতুন তথ্য: ওসমান হাদীর ওপর হামলায় ব্যবহৃত বাইকের চালক শনাক্তের দাবি দ্য ডিসেন্টের Logo আজ পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo পঞ্চগড়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ভাটা উচ্ছেদ Logo সরকার আন্তরিক হলে ২৪ ঘণ্টায় হামলাকারী গ্রেপ্তার সম্ভব: রুমিন ফারহানা Logo নির্বাচন সামনে রেখে সিইসি ও কমিশনারদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চাইল ইসি Logo নোয়াখালী এক্সপ্রেসে অধিনায়কত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা, সৌম্য সরকার প্রথম পছন্দ হলেও বিকল্প ভাবনায় দল Logo জিওস্টার চুক্তি নিয়ে জল্পনার অবসান, অবস্থান পরিষ্কার করলো আইসিসি Logo হাদির ওপর হামলার প্রভাব পড়বে না নির্বাচনে, নির্ধারিত সময়েই ভোট: ইসি সদস্য Logo জার্মানির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থায় সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত থাকার অভিযোগ Logo মেসি উন্মাদনায় অস্থির যুবভারতী, বিশৃঙ্খলার মুখে ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়লেন মহাতারকা

শেখ হাসিনা, কামালের ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব সংবাদ :

গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে গঠিত ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে মোট ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে।

রায়ে বলা হয়—তিনজন আসামির বিরুদ্ধেই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল পলাতক অবস্থায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া শাস্তির পাশাপাশি তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা জুলাই শহীদ পরিবারগুলোর অনুকূলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আরও উল্লেখ করে যে, মামুনের অপরাধ সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য হলেও তার স্বীকারোক্তি ও রাজসাক্ষী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, পলাতক অবস্থায় থাকায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল আপিলের সুযোগ পাবেন না বলে জানায় প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার জানান—ট্রাইব্যুনাল আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হলে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে গ্রেফতার হতে হবে।

এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গত ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেখানে তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়—
১. ১৪ জুলাই গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য
২. হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ
৩. রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা
৪. রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা
৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে মারা

গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এই অভিযোগগুলো গঠন করে। ওই দিন গ্রেফতার থাকা চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন অপরাধে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন, যা পরে আদালত গ্রহণ করে। অন্য দুই আসামি রায় ঘোষণার আগেই পলাতক হয়ে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
৪৬ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা, কামালের ফাঁসির আদেশ

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে গঠিত ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে মোট ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে।

রায়ে বলা হয়—তিনজন আসামির বিরুদ্ধেই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল পলাতক অবস্থায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া শাস্তির পাশাপাশি তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা জুলাই শহীদ পরিবারগুলোর অনুকূলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আরও উল্লেখ করে যে, মামুনের অপরাধ সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য হলেও তার স্বীকারোক্তি ও রাজসাক্ষী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, পলাতক অবস্থায় থাকায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল আপিলের সুযোগ পাবেন না বলে জানায় প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার জানান—ট্রাইব্যুনাল আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হলে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে গ্রেফতার হতে হবে।

এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গত ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেখানে তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়—
১. ১৪ জুলাই গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য
২. হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ
৩. রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা
৪. রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা
৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে মারা

গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এই অভিযোগগুলো গঠন করে। ওই দিন গ্রেফতার থাকা চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন অপরাধে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন, যা পরে আদালত গ্রহণ করে। অন্য দুই আসামি রায় ঘোষণার আগেই পলাতক হয়ে যান।