ষড়যন্ত্র রুখে সমতার মন্ত্রে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয় উদীচীর
‘আমরা তো লড়ছি সমতার মন্ত্রে, থামব না কখনোই শত ষড়যন্ত্রে’ স্লোগান ধারণ করে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সম্মেলন উদ্বোধন করেন উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রবীণ কৃষক নেতা লীনা চক্রবর্তী।
উদ্বোধনী আয়োজনের শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন লীনা চক্রবর্তী। সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান।
এরপর শোভাযাত্রা নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফিরে আসেন উদীচীর হাজারো শিল্পী-কর্মী। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন সম্মেলনের উদ্বোধক লীনা চক্রবর্তী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাফিউর রাব্বি। স্বাগত বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
আলোচনার পর উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের শিল্পীদের উদ্বোধনী পরিবেশনা গীতি-নাট্যালেখ্য ‘প্রতারিত চিরকাল’ দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। গীতি-নাট্যালেখ্যটি গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম। সমবেত গণসংগীত পরিবেশন করে উদীচী মাদারীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা সংসদ। গীতিআলেখ্য পরিবেশন করে উদীচী নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদ। উদীচী দিনাজপুর জেলা সংসদের শিল্পীরা পরিবেশন করেন নৃত্যনাট্য ‘নকশীকাঁথার মাঠ’। একক সংগীত পরিবেশন করেন মায়েশা সুলতানা ঊর্বি এবং একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুপ্রভা সেবতী।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুরু হয় সম্মেলনের সাংগঠনিক বা কাউন্সিল অধিবেশন। দিনব্যাপী নানা সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে সম্মেলনের তৃতীয় ও সমাপনী দিনের কার্যক্রম। সারা দিন নানা সাংগঠনিক পর্ব শেষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলন
/amit