ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন

নিজস্ব সংবাদ :

 

সিলেটের সাদা পাথর এলাকায় পাথর লুটের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। রিটটি দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) তিনি গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাদা পাথর লুটে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে একটি রুল জারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া, ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি), কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওসহ মোট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সাদা পাথর এলাকা রক্ষা ও লুট হওয়া পাথর পুনঃস্থাপনে পাঁচটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. জাফলং ইসিএ ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী টহল দেবে।
২. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় স্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে।
৩. অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বন্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৪. পাথর চুরিতে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
৫. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারিভাবে কোয়ারিগুলো থেকে পাথর ও বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের গাফিলতি ও প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় পাথর লুটের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, হুমকির মুখে পড়েছে সিলেটের পর্যটনশিল্পও।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অভিযোগ, প্রশাসনের অসহযোগিতা ও প্রভাবশালী মহলের মদদে এই অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, যা এলাকাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদ রক্ষায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
১৪ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন

আপডেট সময় ০১:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

 

সিলেটের সাদা পাথর এলাকায় পাথর লুটের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। রিটটি দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) তিনি গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাদা পাথর লুটে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে একটি রুল জারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া, ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি), কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওসহ মোট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সাদা পাথর এলাকা রক্ষা ও লুট হওয়া পাথর পুনঃস্থাপনে পাঁচটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. জাফলং ইসিএ ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী টহল দেবে।
২. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় স্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে।
৩. অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বন্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৪. পাথর চুরিতে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
৫. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারিভাবে কোয়ারিগুলো থেকে পাথর ও বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের গাফিলতি ও প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় পাথর লুটের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, হুমকির মুখে পড়েছে সিলেটের পর্যটনশিল্পও।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অভিযোগ, প্রশাসনের অসহযোগিতা ও প্রভাবশালী মহলের মদদে এই অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, যা এলাকাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদ রক্ষায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।