ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রায়েরবাজার গণকবরে দাফন হওয়া শহীদদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে, পরিবার চাইলে মরদেহ নেওয়ার সুযোগ Logo জুলাই গণহত্যা মামলা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আগামীকাল, হতে পারে সরাসরি সম্প্রচার Logo যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় বন্দুক হামলায় ৪ জন নিহত Logo আগস্টের ৫ তারিখের আগেই প্রকাশ পাবে জুলাই ঘোষণাপত্র: তথ্য উপদেষ্টা Logo মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু, আহত ২ Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ৬ জন প্রকৌশলী ও স্থপতিকে বরখাস্ত Logo রাশিয়ার ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ডকৃত ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত Logo শুধু নির্বাচিত সরকারেরই সংস্কারের অধিকার রয়েছে: ড. মঈন খান Logo রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ জন গ্রেফতার, দায়ের ৩৩টি মামলা Logo সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে অনিয়মের অভিযোগে বড় অঙ্কের জরিমানা

৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’

নিজস্ব সংবাদ :

হরতাল বা অবরোধ নয়, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা পালন করে ‘বাংলা ব্লকেড’। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারে ৬ জুলাই ঘোষিত হয় নতুন এ কর্মসূচি। অরাজনৈতিক এ কর্মসূচিও স্বতস্ফূর্তভাবে পালিত হয় দেশজুড়ে। আন্দোলনে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব নিয়ে আসা ও তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানান দেয় দেশজুড়ে তাদের শক্ত অবস্থান।

সেদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে কলাভবন ও ভিসি চত্বর ঘুরে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায় শিক্ষার্থীদের স্রোত। মিছিলটি একপর্যায়ে শাহবাগ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

এক পর্যায়ে, ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ ছাড়িয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীদের মিছিল। শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, সায়েন্সল্যাফব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ ঢাকার প্রায় সব সড়কই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাংলা ব্লকেডে।

এদিন অভিভাবক, পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ সকলকে একাত্মতা পোষণের আহ্বান জানানো হয়।

জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়কদের মতে, সাধারণ মানুষকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করতে কর্মসূচির চিরাচরিত নাম থেকে বের হয়ে আসেন তারা।

রাজধানী তো বটেই, এদিন বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধ হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-বরিশালসহ বিভিন্ন মহাসড়ক। সবমিলিয়ে কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে যৌক্তিক কোটা সংস্কারের দবিতে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায়, তখন এক অনুষ্ঠানে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্দোলনকে রীতিমতো অযৌক্তিক হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, লেখাপড়া বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়

এদিন রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ ব্লকেড করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরদিন আবারও শাহবাগ থেকে ফার্মগট পর্যন্ত ব্লকেডের ঘোষণা দিয়ে ওই দিনের মতো রাজপথ ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, বাংলা ব্লকেডের মধ্য দিয়েই মূলত শিক্ষার্থীরা জানান দিয়েছিল, কোটা সংস্কার ইস্যুতে ২৪ এর আন্দোলন কতটা আলাদা। এই কর্মসূচিটি আন্দোলনের স্রোতকে করে আরও বেগবান, মেলবন্ধন তৈরি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতার।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
৪৩ বার পড়া হয়েছে

৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’

আপডেট সময় ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

হরতাল বা অবরোধ নয়, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা পালন করে ‘বাংলা ব্লকেড’। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারে ৬ জুলাই ঘোষিত হয় নতুন এ কর্মসূচি। অরাজনৈতিক এ কর্মসূচিও স্বতস্ফূর্তভাবে পালিত হয় দেশজুড়ে। আন্দোলনে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব নিয়ে আসা ও তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানান দেয় দেশজুড়ে তাদের শক্ত অবস্থান।

সেদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে কলাভবন ও ভিসি চত্বর ঘুরে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায় শিক্ষার্থীদের স্রোত। মিছিলটি একপর্যায়ে শাহবাগ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

এক পর্যায়ে, ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ ছাড়িয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীদের মিছিল। শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, সায়েন্সল্যাফব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ ঢাকার প্রায় সব সড়কই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাংলা ব্লকেডে।

এদিন অভিভাবক, পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ সকলকে একাত্মতা পোষণের আহ্বান জানানো হয়।

জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়কদের মতে, সাধারণ মানুষকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করতে কর্মসূচির চিরাচরিত নাম থেকে বের হয়ে আসেন তারা।

রাজধানী তো বটেই, এদিন বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধ হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-বরিশালসহ বিভিন্ন মহাসড়ক। সবমিলিয়ে কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে যৌক্তিক কোটা সংস্কারের দবিতে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায়, তখন এক অনুষ্ঠানে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্দোলনকে রীতিমতো অযৌক্তিক হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, লেখাপড়া বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়

এদিন রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ ব্লকেড করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরদিন আবারও শাহবাগ থেকে ফার্মগট পর্যন্ত ব্লকেডের ঘোষণা দিয়ে ওই দিনের মতো রাজপথ ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, বাংলা ব্লকেডের মধ্য দিয়েই মূলত শিক্ষার্থীরা জানান দিয়েছিল, কোটা সংস্কার ইস্যুতে ২৪ এর আন্দোলন কতটা আলাদা। এই কর্মসূচিটি আন্দোলনের স্রোতকে করে আরও বেগবান, মেলবন্ধন তৈরি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতার।