ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo বন্যার্তদের পাশে কিং খান, শাহরুখের বড় উদ্যোগ Logo শেখ হাসিনার আমলে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ Logo নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: কে এই সুশীলা কার্কি? Logo অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন পপি, অসমাপ্ত সিনেমা নিয়ে ক্ষমা চাইলেন Logo সোনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে মামলা খারিজ করল দিল্লি আদালত Logo রাঙ্গাবালী ভূমি অফিসে ঘুষের ভিডিও করতে গিয়ে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা Logo তফসিলের আগে দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান মির্জা ফখরুল Logo লিটন দাস বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড ভাঙলেন, রিয়াদকে টপকে গেলেন Logo ভারতের সিকিমে ভূমিধসে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ও আহত বহু Logo তৈরি পোশাকে অগ্রগতি, কিন্তু সামগ্রিক উন্নয়নে পিছিয়ে বাংলাদেশ: বাণিজ্য উপদেষ্টা

৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’

নিজস্ব সংবাদ :

হরতাল বা অবরোধ নয়, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা পালন করে ‘বাংলা ব্লকেড’। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারে ৬ জুলাই ঘোষিত হয় নতুন এ কর্মসূচি। অরাজনৈতিক এ কর্মসূচিও স্বতস্ফূর্তভাবে পালিত হয় দেশজুড়ে। আন্দোলনে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব নিয়ে আসা ও তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানান দেয় দেশজুড়ে তাদের শক্ত অবস্থান।

সেদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে কলাভবন ও ভিসি চত্বর ঘুরে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায় শিক্ষার্থীদের স্রোত। মিছিলটি একপর্যায়ে শাহবাগ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

এক পর্যায়ে, ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ ছাড়িয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীদের মিছিল। শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, সায়েন্সল্যাফব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ ঢাকার প্রায় সব সড়কই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাংলা ব্লকেডে।

এদিন অভিভাবক, পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ সকলকে একাত্মতা পোষণের আহ্বান জানানো হয়।

জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়কদের মতে, সাধারণ মানুষকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করতে কর্মসূচির চিরাচরিত নাম থেকে বের হয়ে আসেন তারা।

রাজধানী তো বটেই, এদিন বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধ হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-বরিশালসহ বিভিন্ন মহাসড়ক। সবমিলিয়ে কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে যৌক্তিক কোটা সংস্কারের দবিতে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায়, তখন এক অনুষ্ঠানে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্দোলনকে রীতিমতো অযৌক্তিক হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, লেখাপড়া বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়

এদিন রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ ব্লকেড করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরদিন আবারও শাহবাগ থেকে ফার্মগট পর্যন্ত ব্লকেডের ঘোষণা দিয়ে ওই দিনের মতো রাজপথ ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, বাংলা ব্লকেডের মধ্য দিয়েই মূলত শিক্ষার্থীরা জানান দিয়েছিল, কোটা সংস্কার ইস্যুতে ২৪ এর আন্দোলন কতটা আলাদা। এই কর্মসূচিটি আন্দোলনের স্রোতকে করে আরও বেগবান, মেলবন্ধন তৈরি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতার।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
৭৫ বার পড়া হয়েছে

৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’

আপডেট সময় ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

হরতাল বা অবরোধ নয়, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা পালন করে ‘বাংলা ব্লকেড’। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারে ৬ জুলাই ঘোষিত হয় নতুন এ কর্মসূচি। অরাজনৈতিক এ কর্মসূচিও স্বতস্ফূর্তভাবে পালিত হয় দেশজুড়ে। আন্দোলনে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব নিয়ে আসা ও তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানান দেয় দেশজুড়ে তাদের শক্ত অবস্থান।

সেদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে কলাভবন ও ভিসি চত্বর ঘুরে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায় শিক্ষার্থীদের স্রোত। মিছিলটি একপর্যায়ে শাহবাগ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

এক পর্যায়ে, ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ ছাড়িয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীদের মিছিল। শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, সায়েন্সল্যাফব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ ঢাকার প্রায় সব সড়কই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাংলা ব্লকেডে।

এদিন অভিভাবক, পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ সকলকে একাত্মতা পোষণের আহ্বান জানানো হয়।

জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়কদের মতে, সাধারণ মানুষকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করতে কর্মসূচির চিরাচরিত নাম থেকে বের হয়ে আসেন তারা।

রাজধানী তো বটেই, এদিন বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধ হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-বরিশালসহ বিভিন্ন মহাসড়ক। সবমিলিয়ে কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে যৌক্তিক কোটা সংস্কারের দবিতে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায়, তখন এক অনুষ্ঠানে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্দোলনকে রীতিমতো অযৌক্তিক হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, লেখাপড়া বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়

এদিন রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ ব্লকেড করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরদিন আবারও শাহবাগ থেকে ফার্মগট পর্যন্ত ব্লকেডের ঘোষণা দিয়ে ওই দিনের মতো রাজপথ ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, বাংলা ব্লকেডের মধ্য দিয়েই মূলত শিক্ষার্থীরা জানান দিয়েছিল, কোটা সংস্কার ইস্যুতে ২৪ এর আন্দোলন কতটা আলাদা। এই কর্মসূচিটি আন্দোলনের স্রোতকে করে আরও বেগবান, মেলবন্ধন তৈরি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতার।