১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার বিএনপির: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে দলটি দেড় বছরের মধ্যেই এক কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন তিনি।
খসরু বলেন, “নির্বাচনের আগে ইশতেহার প্রকাশের সময় নয়, বরং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ ও ভোটের প্রস্তুতি নেওয়াই মূল বিষয়। মানুষ ভোট দেয় বাস্তব প্রতিশ্রুতিতে, কেবল কাগজে লেখা ইশতেহারে নয়।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের মূল শক্তি হলো অব্যাহত আলোচনা ও জনগণের অংশগ্রহণ। বিএনপি সেই নীতিতেই কাজ করছে। বেগম খালেদা জিয়া ৮ বছর আগে ভিশন ২০৩০ উপস্থাপন করেছিলেন, যা সময়ের প্রয়োজনে পরবর্তীতে ২৭ দফা এবং ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে পরিণত হয়—সরাসরি জনগণের মতামতের ভিত্তিতে।”
বিএনপির এই নেতা জানান, রাজনৈতিক ঐকমত্যের মধ্য দিয়েই জুলাই সনদে স্বাক্ষর হয়েছে। “ভিন্ন মতকে সম্মান না করে যদি কেউ নতুন ইস্যু তোলে, তাহলে তা ঐকমত্যের প্রতি অশ্রদ্ধা,” মন্তব্য করেন তিনি।
খসরু অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনার শাসনের ফলে অনেকের মধ্যে একধরনের কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে ঐকমত্যের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার। জনগণের ভোটে সংসদে গিয়েও অন্য দলের ওপর জোর খাটানো গণতন্ত্র নয়।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সবাই প্রতিবাদের অধিকার রাখে, কিন্তু সংঘর্ষের রাজনীতি জনগণ চায় না। বিএনপি ৩১ দফার সব দাবি না মানলেও রাস্তায় নেমে সংঘাত নয়, বরং জনগণের কাছে যাবে।”
সংবিধান ও গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই সরকার সংবিধান অনুযায়ী গঠিত, কিন্তু সংবিধানে গণভোটের কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনে সংসদের মাধ্যমেই বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে।”
নতুন প্রজন্মের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “আমরা ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করব। এর জন্য একটি নতুন অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করা হয়েছে এবং প্রস্তুতিও সম্পন্ন।”



















