অস্ট্রেলিয়ায় রান করতে কোহলি ক্ষুধার্ত: গাভাস্কার
অস্ট্রেলিয়ায় রান করতে কোহলি ক্ষুধার্ত: গাভাস্কার।
ব্যাট কথা শুনছে না বিরাট কোহলির ঘরের মাঠে বাংলাদেশের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও রান করতে পারেননি প্রজন্মের সেরা এই ব্যাটার। শেষ ১০ ইনিংস মিলিয়ে মোটে ১৯২ রান করেছেন। সবশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন প্রায় দেড় বছর আগে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর কোহলিকে নিয়ে সমালোচনার মাত্রাটা আরও বেড়েছে। এমন প্রতিকূল পরিবেশেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মর্যাদার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে খেলতে নামছেন ভারতের এই কিংবদন্তি। তবে দুঃসময়ে কোহলি পাশে পাচ্ছেন খোদ সুনীল গাভাস্কারকে।
আগামী ২২ নভেম্বর পার্থে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে। এই সিরিজের আগে বেশ চাপে আছেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। গত বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকানো কোহলি এই সিরিজে খারাপ করলে দলে জায়গাও হারাতে পারেন। তবে এই সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে যার নামে, সেই সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে রানের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছেন কোহলি।
প্রথমবারের মতো বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে পাঁচটি ম্যাচ খেলা হবে। কোহলি চলতি বছর খেলা ৬ টেস্টে মাত্র ২২.৭২ গড়ে রান করেছেন। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া সিরিজের ৩ টেস্টের ৬ ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ৯১ রান।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৪.০৮ গড়ে রান করা কোহলিকে নিয়ে আশাবাদী গাভাস্কার। এই কিংবদন্তিস্টার স্পোর্টসকে বলেন, ‘যেহেতু সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রান পাননি, সে খুবই, খুবই ক্ষুধার্ত। এমনকি সেই অ্যাডিলেড টেস্টে, যেখানে আমরা প্রথম ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিলাম, কোহলি দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রান করেছিলেন রানআউট হওয়ার আগে, যদি আমি ঠিকভাবে মনে করতে পারি। সে ধারাবাহিকভাবে অ্যাডিলেডে রান করেছে, তাই এটা তার পরিচিত মাঠই।’
‘এবং অ্যাডিলেডের আগে পার্থে খেলা, যেখানে সে ২০১৮-১৯ মৌসুমে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিল। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। এই মাঠগুলোয় আগে পারফর্ম করায়, সে আরও একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকবে। হ্যাঁ, অবশ্যই শুরুর দিকে আপনার একটু ভাগ্যের সহায়তা লাগবে, কিন্তু সে যদি ভালো শুরু পায়, সে বড় রান করবে।’ -গাভাস্কার যোগ করেন।
এদিকে আরেক সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার কোহলির বিপক্ষে অজিদের কৌশল কেমন হতে পারে তার একটা পূর্ভাবাস দিয়েছেন। তার বিশ্বাস, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তার দুই সঙ্গী পেসার জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্ক এবং স্পিনার নাথান লায়নকে নিয়ে অফ স্টাম্পের বাইরের জোনে আক্রমণ করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় কোহলি জানেন, কী পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারা অফ স্টাম্পের বাইরের লাইন থেকে শুরু করবে এবং হিসেব কষে বুঝতে চেষ্টা করবে তার (কোহলি) মনে কী চলছে। এইসব ক্ষেত্রে সে অফসাইডের বলগুলো ছেড়ে দেয় সাধারণত এবং ভেতরে আসা বলগুলোতে ড্রাইভ খেলার চেষ্টা করে। অস্ট্রেলিয়া হয়ত চেষ্টা করবে তাকে জায়গা না দেয়ার এবং তার শরীর লক্ষ্য করে বল করবে, যখন সে এগিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করবে।’
নিউজিল্যান্ড একই পরিকল্পনায় কোহলিকে পরাস্ত করেছিল বলে জানান মাঞ্জরেকার। তিনি যোগ করেন, ‘এটা এমন একটা কৌশল যা নিউজিল্যান্ড কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছে। যদি সে অফ স্টাম্পের বাইরের বলগুলোয় মনযোগী হয়, জশ হ্যাজেলউডের মতো বোলাররা ভারনান ফিলান্ডারের (সাবেক প্রোটিয়া পেসার) মতো মিডল স্টাম্পে বল করবে। অস্ট্রেলিয়া অনেক ধরণের কৌশল নেবে, এবং কোহলি পুরোপুরি সতর্ক থাকবেন বলেই বিশ্বাস।’