ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৭ জুলাই) Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব: মির্জা ফখরুল Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ Logo ৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’ Logo পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ, গেজেট প্রকাশ Logo ইরানে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে রেভল্যুশনারি গার্ডের ২ সদস্য নিহত Logo গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় শুরু হচ্ছে নতুন দফার আলোচনা Logo যশোরে বাসের ধাক্কায় পথচারী ও ভ্যানযাত্রীর মৃত্যু, চালক আটক Logo সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনে লং মার্চ হবে: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হুঁশিয়ারি নাহিদের

আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন।

রাশিয়ার আকাশসীমায় আজারবাইজানের একটি বাণিজ্যিক বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই ঘটনার জন্য রাশিয়া দায়ী- এ কথা স্বীকার করেননি তিনি। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের ড্রোন প্রতিহত করতে মস্কোর আকাশে বিমান প্রতিরক্ষা তৎপরতা চালানোর সময় বিস্ফোরণে আজারবাইজানের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রথম মন্তব্যে পুতিন বলেন, ‘এটি দুঃখজনক ঘটনা’।


এর আগে এ বিষয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, চেচনিয়ায় অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিমানটি রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের কবলে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়।


এরপর কাজাখস্তানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ৬৭ জনের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
 
শনিবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং আবারও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

শনিবারের আগে, ক্রেমলিন আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। তবে রাশিয়ান বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছিল, চেচনিয়ায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কারণে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ‘খুব জটিল’।

আজারবাইজানের এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এবং অন্যরা বিশ্বাস করেন যে বিমানের জিপিএস সিস্টেমগুলো ‘ইলেকট্রনিক জ্যামিং’ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং পরে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়েছে।
 
এছাড়া বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান বলে জানিয়েছেন বিমানটির বেঁচে যাওয়া আরোহীরা।
 

আজারবাইজান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেনি। তবে দেশটির পরিবহন মন্ত্রী বলেছিলেন, বিমানটি ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপের’ প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। 
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
৫৭ বার পড়া হয়েছে

আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন

আপডেট সময় ১০:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন।

রাশিয়ার আকাশসীমায় আজারবাইজানের একটি বাণিজ্যিক বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই ঘটনার জন্য রাশিয়া দায়ী- এ কথা স্বীকার করেননি তিনি। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের ড্রোন প্রতিহত করতে মস্কোর আকাশে বিমান প্রতিরক্ষা তৎপরতা চালানোর সময় বিস্ফোরণে আজারবাইজানের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রথম মন্তব্যে পুতিন বলেন, ‘এটি দুঃখজনক ঘটনা’।


এর আগে এ বিষয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, চেচনিয়ায় অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিমানটি রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের কবলে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়।


এরপর কাজাখস্তানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ৬৭ জনের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
 
শনিবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং আবারও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

শনিবারের আগে, ক্রেমলিন আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। তবে রাশিয়ান বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছিল, চেচনিয়ায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কারণে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ‘খুব জটিল’।

আজারবাইজানের এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এবং অন্যরা বিশ্বাস করেন যে বিমানের জিপিএস সিস্টেমগুলো ‘ইলেকট্রনিক জ্যামিং’ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং পরে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়েছে।
 
এছাড়া বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান বলে জানিয়েছেন বিমানটির বেঁচে যাওয়া আরোহীরা।
 

আজারবাইজান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেনি। তবে দেশটির পরিবহন মন্ত্রী বলেছিলেন, বিমানটি ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপের’ প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে।