ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতের আদেশ পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

আদালতের আদেশ পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের থাকা সম্পদের পরিমাণ জানতে আদালতের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা অন্য কর্মকর্তাদের লকার খুলতে আদালতের অনুমতি নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে অন্য কর্মকর্তাদের লকারেও অবৈধ সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেলে অন্য ব্যাংকগুলোর লকারেও দুদক অভিযান চালাবে বলে জানান তিনি।
 
এরআগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। ওই চিঠি পাওয়ার পর ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র। সূত্র জানায়, বর্তমানে লকারে কোনো সম্পদ রাখতে দেয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে কোনো সম্পদ বের করতে দেয়া হচ্ছে না। 
 
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।’
 
 
চিঠিতে আরও বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৯ বার পড়া হয়েছে

আদালতের আদেশ পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান

আপডেট সময় ০৬:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আদালতের আদেশ পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের থাকা সম্পদের পরিমাণ জানতে আদালতের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা অন্য কর্মকর্তাদের লকার খুলতে আদালতের অনুমতি নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে অন্য কর্মকর্তাদের লকারেও অবৈধ সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেলে অন্য ব্যাংকগুলোর লকারেও দুদক অভিযান চালাবে বলে জানান তিনি।
 
এরআগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। ওই চিঠি পাওয়ার পর ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র। সূত্র জানায়, বর্তমানে লকারে কোনো সম্পদ রাখতে দেয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে কোনো সম্পদ বের করতে দেয়া হচ্ছে না। 
 
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।’
 
 
চিঠিতে আরও বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।