ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা।

গত দুইদিনে বঙ্গোপসাগর থেকে ১৯৫ মণ ইলিশ নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার আলীপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি ট্রলার। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স ফাইভ স্টার ফিস নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকায়।

 

এসব মাছ গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ও বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফ.বি. বিসমিল্লাহ-১ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি গত ৬ জানুয়ারি আলীপুর ঘাট থেকে ১৭জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। চার দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্খিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।
 
 
মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।
 
সব মিলিয়ে ট্রলারটির মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
 
ট্রলারের মাঝি একলাস গাজী বলেন, ‘আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কক্সবাজার সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। বর্তমানে সমুদ্রে মাছ বেশি ধরা পড়েছে না‌। এরমধ্যেও এতো মাছ পেয়ে আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’
 
 
এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মালিক খলিলুর রহমান খান বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:২৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
৫৩ বার পড়া হয়েছে

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা

আপডেট সময় ১০:২৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা।

গত দুইদিনে বঙ্গোপসাগর থেকে ১৯৫ মণ ইলিশ নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার আলীপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি ট্রলার। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স ফাইভ স্টার ফিস নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকায়।

 

এসব মাছ গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ও বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফ.বি. বিসমিল্লাহ-১ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি গত ৬ জানুয়ারি আলীপুর ঘাট থেকে ১৭জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। চার দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্খিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।
 
 
মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।
 
সব মিলিয়ে ট্রলারটির মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
 
ট্রলারের মাঝি একলাস গাজী বলেন, ‘আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কক্সবাজার সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। বর্তমানে সমুদ্রে মাছ বেশি ধরা পড়েছে না‌। এরমধ্যেও এতো মাছ পেয়ে আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’
 
 
এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মালিক খলিলুর রহমান খান বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।