ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo খাসিয়ামারা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ, আতঙ্কে শত শত পরিবার Logo সুশান্তের পর এবার কার্তিক আরিয়ানকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সরব অমল মালিক Logo জাহাঙ্গীর কবির পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক Logo নিউইয়র্ক নির্বাচনে জয় পেয়ে ভারতে বিতর্কের কেন্দ্রে জোহরান মামদানি Logo দুবাই গোল্ডেন ভিসায় বড় ছাড়, বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সুযোগ Logo বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৭ জুলাই) Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব: মির্জা ফখরুল Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ Logo ৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা।

গত দুইদিনে বঙ্গোপসাগর থেকে ১৯৫ মণ ইলিশ নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার আলীপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি ট্রলার। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স ফাইভ স্টার ফিস নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকায়।

 

এসব মাছ গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ও বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফ.বি. বিসমিল্লাহ-১ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি গত ৬ জানুয়ারি আলীপুর ঘাট থেকে ১৭জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। চার দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্খিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।
 
 
মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।
 
সব মিলিয়ে ট্রলারটির মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
 
ট্রলারের মাঝি একলাস গাজী বলেন, ‘আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কক্সবাজার সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। বর্তমানে সমুদ্রে মাছ বেশি ধরা পড়েছে না‌। এরমধ্যেও এতো মাছ পেয়ে আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’
 
 
এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মালিক খলিলুর রহমান খান বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:২৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
৪৪ বার পড়া হয়েছে

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা

আপডেট সময় ১০:২৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

এক ট্রলারেই এলো ১৯৫ মণ ইলিশ, উচ্ছ্বসিত জেলেরা।

গত দুইদিনে বঙ্গোপসাগর থেকে ১৯৫ মণ ইলিশ নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার আলীপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি ট্রলার। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স ফাইভ স্টার ফিস নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকায়।

 

এসব মাছ গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ও বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফ.বি. বিসমিল্লাহ-১ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি গত ৬ জানুয়ারি আলীপুর ঘাট থেকে ১৭জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। চার দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্খিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।
 
 
মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।
 
সব মিলিয়ে ট্রলারটির মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
 
ট্রলারের মাঝি একলাস গাজী বলেন, ‘আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কক্সবাজার সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। বর্তমানে সমুদ্রে মাছ বেশি ধরা পড়েছে না‌। এরমধ্যেও এতো মাছ পেয়ে আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’
 
 
এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মালিক খলিলুর রহমান খান বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।