ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা বিএনপি চেয়ারপারসনের, শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে অঙ্গীকারের ডাক

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্র আবারও স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেগম জিয়া বলেন, “যে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে জিয়াউর রহমান জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই গণতন্ত্র আজও বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে অচিরেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে—এই বিশ্বাস আমাদের থাকতে হবে। শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, “সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান যে রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব।”

খালেদা জিয়া বিএনপির সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান, যেন দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যু: একটি পটভূমি

১৯৮১ সালের ২৯ মে রাষ্ট্রপতি হিসেবে চট্টগ্রাম সফরে যান জিয়াউর রহমান। সফরের লক্ষ্য ছিল বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মাঝে চলমান বিরোধের সমাধান। দিনব্যাপী বৈঠকের পর গভীর রাতে তিনি বিশ্রামে যান। কিন্তু ভোররাতে সেনাবাহিনীর একটি অংশ তার উপর গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। একইসঙ্গে প্রাণ হারান তার নিরাপত্তায় থাকা কর্নেল এহসান ও ক্যাপ্টেন হাফিজ।

পরদিন, ৩০ মে সকালে রেডিওতে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুসংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রচার করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
৮৭ বার পড়া হয়েছে

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা বিএনপি চেয়ারপারসনের, শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে অঙ্গীকারের ডাক

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

গণতন্ত্র আবারও স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেগম জিয়া বলেন, “যে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে জিয়াউর রহমান জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই গণতন্ত্র আজও বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে অচিরেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে—এই বিশ্বাস আমাদের থাকতে হবে। শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, “সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান যে রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব।”

খালেদা জিয়া বিএনপির সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান, যেন দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যু: একটি পটভূমি

১৯৮১ সালের ২৯ মে রাষ্ট্রপতি হিসেবে চট্টগ্রাম সফরে যান জিয়াউর রহমান। সফরের লক্ষ্য ছিল বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মাঝে চলমান বিরোধের সমাধান। দিনব্যাপী বৈঠকের পর গভীর রাতে তিনি বিশ্রামে যান। কিন্তু ভোররাতে সেনাবাহিনীর একটি অংশ তার উপর গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। একইসঙ্গে প্রাণ হারান তার নিরাপত্তায় থাকা কর্নেল এহসান ও ক্যাপ্টেন হাফিজ।

পরদিন, ৩০ মে সকালে রেডিওতে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুসংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রচার করা হয়েছিল।