ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল

নিজস্ব সংবাদ :

রোববার, ২৭ জুলাই থেকে ইসরায়েল গাজার কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় ১০ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই ‘কৌশলগত বিরতি’ কার্যকর থাকবে। মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সুযোগ করে দিতেই এই সাময়িক বিরতির কথা বলা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই বিরতি প্রযোজ্য হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটি।

তবে এই ঘোষণার মধ্যেও থেমে নেই সহিংসতা। যুদ্ধবিরতির দিন রোববার সকাল থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগের দিন শনিবার (২৬ জুলাই) নিহত হয়েছিলেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন সাধারণ নাগরিক এবং ত্রাণ সহায়তার আশায় অপেক্ষমাণ ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জন ফিলিস্তিনির।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তার ওপর আরোপিত কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও অবরোধের ফলে গাজা উপত্যকায় মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ক্রমবর্ধমানভাবে মানুষ অনাহারে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন।

অঞ্চলটিতে কাজ করা সাংবাদিকদের মতে, এই সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তারা প্রায়ই নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন। তাদের দাবি, ক্ষুধাকে একটি ‘যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল।

ক্ষুধা ও চিকিৎসার অভাবে গাজার হাসপাতালে করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু বাড়ছে। দক্ষিণ গাজায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক নিক মেইনারড জানান, এমন করুণ দৃশ্য তারা আগে কখনো দেখেননি। অনেক চিকিৎসক ক্ষুধার্ত রোগীদের দেখেই ভীষণ মানসিক আঘাত পাচ্ছেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
৩৪ বার পড়া হয়েছে

গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল

আপডেট সময় ০৬:১৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

রোববার, ২৭ জুলাই থেকে ইসরায়েল গাজার কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় ১০ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই ‘কৌশলগত বিরতি’ কার্যকর থাকবে। মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সুযোগ করে দিতেই এই সাময়িক বিরতির কথা বলা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই বিরতি প্রযোজ্য হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটি।

তবে এই ঘোষণার মধ্যেও থেমে নেই সহিংসতা। যুদ্ধবিরতির দিন রোববার সকাল থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগের দিন শনিবার (২৬ জুলাই) নিহত হয়েছিলেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন সাধারণ নাগরিক এবং ত্রাণ সহায়তার আশায় অপেক্ষমাণ ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জন ফিলিস্তিনির।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তার ওপর আরোপিত কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও অবরোধের ফলে গাজা উপত্যকায় মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ক্রমবর্ধমানভাবে মানুষ অনাহারে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন।

অঞ্চলটিতে কাজ করা সাংবাদিকদের মতে, এই সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তারা প্রায়ই নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন। তাদের দাবি, ক্ষুধাকে একটি ‘যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল।

ক্ষুধা ও চিকিৎসার অভাবে গাজার হাসপাতালে করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু বাড়ছে। দক্ষিণ গাজায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক নিক মেইনারড জানান, এমন করুণ দৃশ্য তারা আগে কখনো দেখেননি। অনেক চিকিৎসক ক্ষুধার্ত রোগীদের দেখেই ভীষণ মানসিক আঘাত পাচ্ছেন।