গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় শুরু হচ্ছে নতুন দফার আলোচনা
গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক তৎপরতা আবারও শুরু হচ্ছে। মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, রোববার (৬ জুলাই) দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার নতুন পর্ব শুরু হবে।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, কাতারে এই নতুন দফার আলোচনা শুরু হচ্ছে, যেখানে মূল লক্ষ্য থাকবে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা ও জিম্মি বিনিময় নিয়ে অগ্রগতি সাধন করা।
ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল রোববার দোহায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে পরিকল্পনা হবে। আলোচনার পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
নেতানিয়াহু ইতোমধ্যেই কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন এবং বলেছেন, হামাসের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব “অগ্রহণযোগ্য”।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় টানা সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ দিন দিন বাড়ছে। এর অংশ হিসেবে শনিবার তেলআবিবে বন্দিদের পরিবারের উদ্যোগে হাজারো ইসরায়েলি প্রতিবাদে অংশ নেয়।
হামাস শুক্রবার (৪ জুলাই) জানায়, তারা আলোচনায় ‘তাৎক্ষণিক ও গুরুত্ব সহকারে’ অংশ নিতে প্রস্তুত।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হামাসের চাওয়া কিছু পরিবর্তন ইসরায়েল মেনে নিতে পারবে না।
গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। তবে মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা এবং কিছু এলাকায় প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকৃত প্রাণহানির সংখ্যা যাচাই করা যায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এএফপিকে জানায়, তারা নির্দিষ্ট কিছু হামলা ছাড়া বিস্তারিত মন্তব্য করবে না।
হামাস এখনো কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় প্রস্তুত প্রস্তাবের প্রতি তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে দুটি ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত চুক্তিতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা রয়েছে। এতে হামাস ১০ জন জীবিত জিম্মি ও কয়েকটি মৃতদেহ ফেরত দেবে এবং ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
হামাস দাবি করেছে, তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, যুদ্ধকালীন নতুন হামলা না চালানো এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা ফের চালুর নিশ্চয়তা চাইছে।