চ্যাটজিপিটি’র সামনে কি তবে শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে আসছে ডিপসিক?
চ্যাটজিপিটি’র সামনে কি তবে শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে আসছে ডিপসিক?
পৃথিবীজুড়ে এখন চর্চিত বিষয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। বিশ্বে সেই প্রতিযোগিতায় নতুন এক নাম ‘ডিপসিক'(DeepSeek)। চীনের হ্যাংজু শহর থেকে যাত্রা শুরু করা এই এআই স্টার্টআপ এরইমধ্যে ওপেনএআই এর চ্যাটজিপিটি এবং গুগল জেমিনি’র মতো প্রতিদ্বন্দ্বিদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। খবর গালফ নিউজ’র।
ডিপসিক-কে তাদের প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে বলা হচ্ছে ‘এক রহস্যময় শক্তি”। যা চীনের এআই প্রতিযোগিতার নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ডিপসিক-এর সদর দপ্তরও হ্যাংজুতেই। একসময় এই শহর ছিল চা ও সিল্কের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বর্তমানে এটি আলিবাবার মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের জন্য প্রধান হাব হিসেবে পরিচিত।
এটির লক্ষ্য শুধু একটি ভাষা মডেল তৈরি করা নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (এজিআই) তৈরি করা। যা এজিআই-এর অজানা রহস্য উদঘাটন করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিপসিক-এর মূল অর্থায়ন এসেছে চীনের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। এর মধ্যে অন্যতম একটি নাম হলো হাই-ফ্লায়ার। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি চীনের বৃহত্তম কোয়ান্টিটেটিভ ফান্ডগুলোর একটি।
সাড়া সাজাতে আসা এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও লিয়াং ওয়েনফেং। তার নেতৃত্বে এই উদ্যোগ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। লিয়াং ওয়েনফেং ছিলেন হাই-ফ্লায়ারেরও প্রতিষ্ঠাতা।
ডিপসিক কেবল এআই মডেল তৈরিতেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হবে ড্রোন ও ইলেকট্রিক গাড়ির মতোই সাধারণ। চীনের এআই শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে ডিপসিক এরইমধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ করেছে।