ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর হাতে ন্যাস্ত করার পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকে। তাদের হল নেই। শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। আমরা তিন দিনের মধ্যে হল করে দিতে পারবো না, তবে আর্মির কাছে কাজ হস্তান্তর করতে পারি। তবে এর জন্য আমাদের বসতে হবে।
 
এ সময় সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের অপমান করা হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। এই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সচিব ও সংশ্লিষ্টরা যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তারা দুঃখ প্রকাশ করবেন।  
 
 
এরআগে, বেলা ১১টার দিকে পদযাত্রাসহ কয়েক হাজার জবি শিক্ষার্থী শিক্ষা ভবন এবং সচিবালয়ের আশেোশে অবস্থান নেন। পরে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় সচিবালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে তথ্য উপদেষ্টা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
 
আন্দোলনের মুখপাত্র জবি শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়া হবে। পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ‘দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক’কে আইনের আওতায় আনা এবং সাত দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ দিতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এমন ঘোষণা আসতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল); অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।   

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
২০ বার পড়া হয়েছে

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের

আপডেট সময় ০৫:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর হাতে ন্যাস্ত করার পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকে। তাদের হল নেই। শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। আমরা তিন দিনের মধ্যে হল করে দিতে পারবো না, তবে আর্মির কাছে কাজ হস্তান্তর করতে পারি। তবে এর জন্য আমাদের বসতে হবে।
 
এ সময় সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের অপমান করা হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। এই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সচিব ও সংশ্লিষ্টরা যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তারা দুঃখ প্রকাশ করবেন।  
 
 
এরআগে, বেলা ১১টার দিকে পদযাত্রাসহ কয়েক হাজার জবি শিক্ষার্থী শিক্ষা ভবন এবং সচিবালয়ের আশেোশে অবস্থান নেন। পরে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় সচিবালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে তথ্য উপদেষ্টা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
 
আন্দোলনের মুখপাত্র জবি শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়া হবে। পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ‘দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক’কে আইনের আওতায় আনা এবং সাত দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ দিতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এমন ঘোষণা আসতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল); অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।