ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ৭নং গ্যাসকূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয় সিলেট-৭ নম্বর গ্যাসকূপকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ৭নং কূপ থেকে আজ নতুন করে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে।

গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা যায়, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭নং কূপে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে আসছে। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষামূলক হিসেবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয় এবং উক্ত কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপে তেল উত্তোলন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। সিলেটে ১৪টি কূপে খনন ও গ্যাস উত্তোলন করে দেশীয় তেল গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি বাপেক্স। এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে ২টি কূপে, গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ৩টিতে, রশিদপুর ৭টি, বিয়ানীবাজার ২টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে।

এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাসফিল্ডে ১৯৫৫ সালে ৯টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ২টিতে গ্যাস পাওয়া যায় এবং ১৯৬১ সালে এই কূপ দুটি উৎপাদনে যায়। গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ১৯৬২ সালে ৭টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ৩টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৮৩ সালে উৎপাদনে যায়। রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ১৯৬০ সালে ১১টি কূপ খনন করে ৭টিতে গ্যাস উৎপাদনে যায় ১৯৯৩ সালে। বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ডে ১৯৮১ সালে ২টি কূপ খনন করে দুটিতেই গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৯৯ সালে উৎপাদনে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
১২৬ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ৭নং গ্যাসকূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয় সিলেট-৭ নম্বর গ্যাসকূপকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ৭নং কূপ থেকে আজ নতুন করে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে।

গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা যায়, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭নং কূপে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে আসছে। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষামূলক হিসেবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয় এবং উক্ত কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপে তেল উত্তোলন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। সিলেটে ১৪টি কূপে খনন ও গ্যাস উত্তোলন করে দেশীয় তেল গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি বাপেক্স। এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে ২টি কূপে, গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ৩টিতে, রশিদপুর ৭টি, বিয়ানীবাজার ২টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে।

এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাসফিল্ডে ১৯৫৫ সালে ৯টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ২টিতে গ্যাস পাওয়া যায় এবং ১৯৬১ সালে এই কূপ দুটি উৎপাদনে যায়। গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ১৯৬২ সালে ৭টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ৩টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৮৩ সালে উৎপাদনে যায়। রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ১৯৬০ সালে ১১টি কূপ খনন করে ৭টিতে গ্যাস উৎপাদনে যায় ১৯৯৩ সালে। বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ডে ১৯৮১ সালে ২টি কূপ খনন করে দুটিতেই গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৯৯ সালে উৎপাদনে যায়।