ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এখন সময়ের দাবি: ফখরুল Logo গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল Logo নাহিদ ইসলামের দাবি: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় চীনের বিশেষ মেডিকেল টিম Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকিরের ফিউনারেল প্যারেড ও জানাজা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান নয় — জানাল আইএসপিআর Logo মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা Logo উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা: উদ্ধার তৎপরতা আপাতত শেষ, পুনরায় শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ৭নং গ্যাসকূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয় সিলেট-৭ নম্বর গ্যাসকূপকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ৭নং কূপ থেকে আজ নতুন করে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে।

গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা যায়, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭নং কূপে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে আসছে। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষামূলক হিসেবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয় এবং উক্ত কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপে তেল উত্তোলন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। সিলেটে ১৪টি কূপে খনন ও গ্যাস উত্তোলন করে দেশীয় তেল গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি বাপেক্স। এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে ২টি কূপে, গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ৩টিতে, রশিদপুর ৭টি, বিয়ানীবাজার ২টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে।

এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাসফিল্ডে ১৯৫৫ সালে ৯টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ২টিতে গ্যাস পাওয়া যায় এবং ১৯৬১ সালে এই কূপ দুটি উৎপাদনে যায়। গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ১৯৬২ সালে ৭টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ৩টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৮৩ সালে উৎপাদনে যায়। রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ১৯৬০ সালে ১১টি কূপ খনন করে ৭টিতে গ্যাস উৎপাদনে যায় ১৯৯৩ সালে। বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ডে ১৯৮১ সালে ২টি কূপ খনন করে দুটিতেই গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৯৯ সালে উৎপাদনে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
৮১ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ৭নং গ্যাসকূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয় সিলেট-৭ নম্বর গ্যাসকূপকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ৭নং কূপ থেকে আজ নতুন করে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে।

গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা যায়, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭নং কূপে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে আসছে। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষামূলক হিসেবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয় এবং উক্ত কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপে তেল উত্তোলন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। সিলেটে ১৪টি কূপে খনন ও গ্যাস উত্তোলন করে দেশীয় তেল গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি বাপেক্স। এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে ২টি কূপে, গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ৩টিতে, রশিদপুর ৭টি, বিয়ানীবাজার ২টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে।

এর মধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাসফিল্ডে ১৯৫৫ সালে ৯টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ২টিতে গ্যাস পাওয়া যায় এবং ১৯৬১ সালে এই কূপ দুটি উৎপাদনে যায়। গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ১৯৬২ সালে ৭টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ৩টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৮৩ সালে উৎপাদনে যায়। রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ১৯৬০ সালে ১১টি কূপ খনন করে ৭টিতে গ্যাস উৎপাদনে যায় ১৯৯৩ সালে। বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ডে ১৯৮১ সালে ২টি কূপ খনন করে দুটিতেই গ্যাসের সন্ধান মিলে এবং ১৯৯৯ সালে উৎপাদনে যায়।