ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৭ জুলাই) Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব: মির্জা ফখরুল Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ Logo ৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’ Logo পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ, গেজেট প্রকাশ Logo ইরানে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে রেভল্যুশনারি গার্ডের ২ সদস্য নিহত Logo গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় শুরু হচ্ছে নতুন দফার আলোচনা Logo যশোরে বাসের ধাক্কায় পথচারী ও ভ্যানযাত্রীর মৃত্যু, চালক আটক Logo সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনে লং মার্চ হবে: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হুঁশিয়ারি নাহিদের

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের।

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নারীরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় ‘বগুড়া জেলা পর্দানশীন নারী সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শতাধিক নারী অংশ নেন। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবির বদলে শুধু আঙুলের ছাপ দিয়ে নাগরিকের পরিচয় শনাক্তের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীদের পক্ষে মোছাম্মাত ওয়ালিদা খাতুন বলেন, বিগত ১৬ বছর পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ববঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তারা রাষ্ট্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। যোগ্য নাগরিক হওয়ার পরও ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় ১৬ বছর ধরে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। নাগরিকত্ব না থাকায় তারা রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ওয়ালিদা খাতুন আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে পুরুষের সামনে বাধ্যতামূলকভাবে মুখের পর্দা খুলে চেহারা দেখানো শুধু বিব্রতকর নয়, ইসলামবিরোধী কাজ। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি তুলে পর্দানশীন নারীরা গুনাহগার হতে চান না। এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ছবি সরিয়ে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে নারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজে নারীদের নিয়োগ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই পরিচয় শনাক্ত নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীরা শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি, ফরম পূরণসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের ছবি তোলার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি জানান। পরে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
৭৭ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের

আপডেট সময় ১১:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের।

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নারীরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় ‘বগুড়া জেলা পর্দানশীন নারী সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শতাধিক নারী অংশ নেন। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবির বদলে শুধু আঙুলের ছাপ দিয়ে নাগরিকের পরিচয় শনাক্তের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীদের পক্ষে মোছাম্মাত ওয়ালিদা খাতুন বলেন, বিগত ১৬ বছর পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ববঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তারা রাষ্ট্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। যোগ্য নাগরিক হওয়ার পরও ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় ১৬ বছর ধরে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। নাগরিকত্ব না থাকায় তারা রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ওয়ালিদা খাতুন আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে পুরুষের সামনে বাধ্যতামূলকভাবে মুখের পর্দা খুলে চেহারা দেখানো শুধু বিব্রতকর নয়, ইসলামবিরোধী কাজ। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি তুলে পর্দানশীন নারীরা গুনাহগার হতে চান না। এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ছবি সরিয়ে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে নারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজে নারীদের নিয়োগ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই পরিচয় শনাক্ত নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীরা শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি, ফরম পূরণসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের ছবি তোলার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি জানান। পরে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।