ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে গৃহস্থালী কাজের অবদান

নিজস্ব সংবাদ :

রুমা আক্তার, যার ব্যস্ততা শুরু হয় ভোরের আলো ফোটার আগ থেকেই। রাজধানীর এই বাসিন্দা তিন বেলা নিজেই রান্না করে একটি হোটেল চালান। স্বামী সহযোগিতা করলেও মূল কাজ করেন এই নারী। আয়ের অর্থে চলে সংসার, তিন সন্তানের লেখাপড়া।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় বস্তি কড়াইলের বেশিরভাগ নারীই গৃহকর্মে নিয়োজিত। সকালে থেকে রাত পর্যন্ত চলে তাদের কাজ। মাসে একেকজনের আয় হয় ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

গৃহকর্মে নারীদের এই অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে, অর্থনীতিতে এই কাজের নেই স্বীকৃতি। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা বলছে, গৃহস্থালি কাজে দেশের নারীরা বছরে ব্যয় করছেন প্রায় ১৭ হাজার ঘণ্টা। আর্থিক মূল্যও বড়, প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। যা যোগ করলে বড় হবে জিডিপি।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এক্ষেত্রে আমরা বিষয়টিকে আনপেইড কেয়ার ওয়ার্ক বলে থাকি। এই কাজে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ নারী কাজ করে। এর আর্থিক মূল্য ৬ লাখ ৩১ কোটি টাকার মতো। যার মধ্যে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নারীদের। এটি জিডিপিতে যুক্ত হওয়ার মতো আইন।

গৃহকাজের মূল্যায়ন ছাড়া পরিপূর্ণ হবে না অর্থনীতির ব্যপ্তি। তাই আর্থিক অবদান নিরূপণে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান আহমেদ বলেছেন, নারীরা শুধুমাত্র রান্না করে না, তারা কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করে থাকে। স্বীকৃতি হিসেবে এই কাজগুলোর মূল্যমান আনা গেলে তা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে গৃহস্থালী কাজের সার্বিক দিক নিয়ে দেয়া থাকবে ধারণা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
৭৯ বার পড়া হয়েছে

জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে গৃহস্থালী কাজের অবদান

আপডেট সময় ০৬:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

রুমা আক্তার, যার ব্যস্ততা শুরু হয় ভোরের আলো ফোটার আগ থেকেই। রাজধানীর এই বাসিন্দা তিন বেলা নিজেই রান্না করে একটি হোটেল চালান। স্বামী সহযোগিতা করলেও মূল কাজ করেন এই নারী। আয়ের অর্থে চলে সংসার, তিন সন্তানের লেখাপড়া।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় বস্তি কড়াইলের বেশিরভাগ নারীই গৃহকর্মে নিয়োজিত। সকালে থেকে রাত পর্যন্ত চলে তাদের কাজ। মাসে একেকজনের আয় হয় ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

গৃহকর্মে নারীদের এই অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে, অর্থনীতিতে এই কাজের নেই স্বীকৃতি। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা বলছে, গৃহস্থালি কাজে দেশের নারীরা বছরে ব্যয় করছেন প্রায় ১৭ হাজার ঘণ্টা। আর্থিক মূল্যও বড়, প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। যা যোগ করলে বড় হবে জিডিপি।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এক্ষেত্রে আমরা বিষয়টিকে আনপেইড কেয়ার ওয়ার্ক বলে থাকি। এই কাজে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ নারী কাজ করে। এর আর্থিক মূল্য ৬ লাখ ৩১ কোটি টাকার মতো। যার মধ্যে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নারীদের। এটি জিডিপিতে যুক্ত হওয়ার মতো আইন।

গৃহকাজের মূল্যায়ন ছাড়া পরিপূর্ণ হবে না অর্থনীতির ব্যপ্তি। তাই আর্থিক অবদান নিরূপণে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান আহমেদ বলেছেন, নারীরা শুধুমাত্র রান্না করে না, তারা কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করে থাকে। স্বীকৃতি হিসেবে এই কাজগুলোর মূল্যমান আনা গেলে তা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে গৃহস্থালী কাজের সার্বিক দিক নিয়ে দেয়া থাকবে ধারণা।