ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo হাত-পা অতিরিক্ত ঘামে? জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার Logo পূর্ব কঙ্গোর গির্জায় ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ২১ জন Logo চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর ভোকাল রাতুল আর নেই Logo গ্রিসে ইসরায়েলি পর্যটকের কানে হামলা, অভিযুক্ত সিরীয় নাগরিক Logo ‘জুলাই বিপ্লব শুধু অতীত নয়, এটি চলমান সংগ্রাম’ Logo দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এখন সময়ের দাবি: ফখরুল Logo গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল Logo নাহিদ ইসলামের দাবি: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর

ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতাকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতাকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা।

কোনো বাধা বা হুমকি ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে নাগরিকদের ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

 

গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি উল্লেখ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
 
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন। আন্দোলনের সময় তারা ঢাকার দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে তাদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করেন। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের ভোট দেয়ার সুযোগই হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

 

 
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।
 
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এখন দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রক্রিয়াটি কেমন হবে। তারা কি ছোট পরিসরের সংস্কার কর্মসূচিতে যাবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চাইবে।
 
‘যদি মানুষ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েছি। আর যদি বলে, না আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার, তাহলে আমাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে’, যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
 
বর্তমান প্রজন্মকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তি বর্তমান প্রজন্মকে বদলে দেয়ার কারণে তারা এখন শুধু বাংলাদেশি আর তরুণ নয়, বরং সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের অংশ হয়ে গেছে। এই প্রজন্ম পুরনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না, তাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

 

 
তিনি আরও বলেন, তরুণদের কাজের প্রতিটি অংশে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করা হবে।
 
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে মুগ্ধ হন ক্লাউস শোয়াব এবং আধাঘণ্টার আলাপচারিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
৫৮ বার পড়া হয়েছে

ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতাকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৯:০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতাকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা।

কোনো বাধা বা হুমকি ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে নাগরিকদের ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

 

গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি উল্লেখ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
 
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন। আন্দোলনের সময় তারা ঢাকার দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে তাদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করেন। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের ভোট দেয়ার সুযোগই হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

 

 
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।
 
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এখন দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রক্রিয়াটি কেমন হবে। তারা কি ছোট পরিসরের সংস্কার কর্মসূচিতে যাবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চাইবে।
 
‘যদি মানুষ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েছি। আর যদি বলে, না আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার, তাহলে আমাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে’, যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
 
বর্তমান প্রজন্মকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তি বর্তমান প্রজন্মকে বদলে দেয়ার কারণে তারা এখন শুধু বাংলাদেশি আর তরুণ নয়, বরং সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের অংশ হয়ে গেছে। এই প্রজন্ম পুরনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না, তাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

 

 
তিনি আরও বলেন, তরুণদের কাজের প্রতিটি অংশে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করা হবে।
 
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে মুগ্ধ হন ক্লাউস শোয়াব এবং আধাঘণ্টার আলাপচারিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা।