ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা Logo কীভাবে আ.লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে, জানালেন প্রেস সচিব Logo বিমানে বোমা আতঙ্কের খবর পুরোপুরি মিথ্যা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo জাতিসংঘ মহাসচিবসহ একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ Logo রাশিয়ার ‘প্রতিশোধ’, পশ্চিমাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তে আইন! Logo ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়কের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo দিনদুপুরে কিডন্যাপের চেষ্টা, গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বাঁচলেন অভিনেত্রী নিঝুম Logo প্রশ্নবিদ্ধ আলিস ইসলামের বোলিং অ্যাকশন Logo নুরি শাহিনকে ছাঁটাই করলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড Logo খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে আরও ২ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

তিন মাসে বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

তিন মাসে বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দেশে যতটা ঋণ এসেছে, তার তুলনায় প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শুধু তাই নয়, এ সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিও নেমেছে তলানিতে। অবশ্য এ পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলছেন অর্থনীতিবিদরা। দিচ্ছেন যৌক্তিক ঋণ নেয়ার পরামর্শ।

গত তিন মাসে সুদসহ ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বিদেশি ঋণ শোধ করেছে বাংলাদেশ।

দেশে বেড়েই চলেছে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, তার চেয়ে বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।

 

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে এ সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ঋণ ছাড় করানো সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ছাড় যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে ঋণ শোধের পরিমাণ। এমন পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে ভবিষ্যতে চাপ কমানোর জন্য যৌক্তিক ঋণ নেয়ার পরামর্শ তাদের।
 
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। তবে এটি স্বাভাবিক। ঋণ নিলে সেটি শোধ করতেই হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
 
এদিকে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রায় তলানিতে নেমেছে। ওই তিন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
৩৫ বার পড়া হয়েছে

তিন মাসে বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

তিন মাসে বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দেশে যতটা ঋণ এসেছে, তার তুলনায় প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শুধু তাই নয়, এ সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিও নেমেছে তলানিতে। অবশ্য এ পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলছেন অর্থনীতিবিদরা। দিচ্ছেন যৌক্তিক ঋণ নেয়ার পরামর্শ।

গত তিন মাসে সুদসহ ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বিদেশি ঋণ শোধ করেছে বাংলাদেশ।

দেশে বেড়েই চলেছে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, তার চেয়ে বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।

 

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে এ সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ঋণ ছাড় করানো সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ছাড় যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে ঋণ শোধের পরিমাণ। এমন পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে ভবিষ্যতে চাপ কমানোর জন্য যৌক্তিক ঋণ নেয়ার পরামর্শ তাদের।
 
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। তবে এটি স্বাভাবিক। ঋণ নিলে সেটি শোধ করতেই হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
 
এদিকে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রায় তলানিতে নেমেছে। ওই তিন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।