ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা Logo কীভাবে আ.লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে, জানালেন প্রেস সচিব Logo বিমানে বোমা আতঙ্কের খবর পুরোপুরি মিথ্যা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo জাতিসংঘ মহাসচিবসহ একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ Logo রাশিয়ার ‘প্রতিশোধ’, পশ্চিমাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তে আইন! Logo ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়কের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo দিনদুপুরে কিডন্যাপের চেষ্টা, গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বাঁচলেন অভিনেত্রী নিঝুম Logo প্রশ্নবিদ্ধ আলিস ইসলামের বোলিং অ্যাকশন Logo নুরি শাহিনকে ছাঁটাই করলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড Logo খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে আরও ২ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা।

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।


খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত ভালোই। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত বা স্টক করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবেন না।


খাদ্যঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাল ও গম মিলিয়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়া ও ভারত থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানি হবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে চাল কেনা যাবে। কিন্তু ভারতে চালের দাম এবং সরবরাহ খরচ কম থাকায় ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হবে। এছাড়া পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে চুক্তি করা হয়েছে। আবার ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
 

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, চালের দাম এখন কেজি প্রতি ৬০ টাকার মতো। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে। চালের দামে অস্থিরতা কমেছে। দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে। মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে। এই চালের আমদানি নির্ভর করে, বোরো ধান উৎপাদনের ওপর। যদি উৎপাদন ভালো হয় তাহলে আমদানি কমবে, যদি কম হয় তাহলে বাড়তেও পারে।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, অকাল বন্যার কারণে আমনের ঘাটতি হয়েছে। ঘাটতি হয়েছে আউশেও। আমাদের সামনে আছে বোরো। আমরা আশা করছি, যদি বোরো ভালো উৎপাদন হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমদানি কমাতে পারব। তবে এ জন্য আমরা অপেক্ষা করব না। বিদেশ থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে।
 

চালের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ত্রিশ টাকা দামে ওএমএসএর মাধ্যমে চাল দিচ্ছি। টিসিবিও কম দামে চাল দিচ্ছে।

এখন চালের দাম স্বাভাবিক কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও কমলে ভালো, খুশি হব। তবে কৃষকের কথাও ভাবতে হবে। উৎপাদন ব্যয়ের কথাও চিন্তা করতে হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:০২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা।

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।


খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত ভালোই। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত বা স্টক করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবেন না।


খাদ্যঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাল ও গম মিলিয়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়া ও ভারত থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানি হবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে চাল কেনা যাবে। কিন্তু ভারতে চালের দাম এবং সরবরাহ খরচ কম থাকায় ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হবে। এছাড়া পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে চুক্তি করা হয়েছে। আবার ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
 

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, চালের দাম এখন কেজি প্রতি ৬০ টাকার মতো। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে। চালের দামে অস্থিরতা কমেছে। দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে। মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে। এই চালের আমদানি নির্ভর করে, বোরো ধান উৎপাদনের ওপর। যদি উৎপাদন ভালো হয় তাহলে আমদানি কমবে, যদি কম হয় তাহলে বাড়তেও পারে।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, অকাল বন্যার কারণে আমনের ঘাটতি হয়েছে। ঘাটতি হয়েছে আউশেও। আমাদের সামনে আছে বোরো। আমরা আশা করছি, যদি বোরো ভালো উৎপাদন হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমদানি কমাতে পারব। তবে এ জন্য আমরা অপেক্ষা করব না। বিদেশ থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে।
 

চালের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ত্রিশ টাকা দামে ওএমএসএর মাধ্যমে চাল দিচ্ছি। টিসিবিও কম দামে চাল দিচ্ছে।

এখন চালের দাম স্বাভাবিক কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও কমলে ভালো, খুশি হব। তবে কৃষকের কথাও ভাবতে হবে। উৎপাদন ব্যয়ের কথাও চিন্তা করতে হবে।