ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo শেখ হাসিনা-কামালকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ Logo বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কমেছে, অর্থায়নে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ উৎস নির্ভরতা Logo আজ শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শুনানি Logo ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল Logo বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ জুন) Logo ইরানে হামলার নিন্দা জানালো সৌদি, প্রিন্স সালমান-পেজেশকিয়ান ফোনালাপ Logo রাতভর হামলায় দিশেহারা ইসরায়েল, এখনও নিখোঁজ ৩৫ Logo ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে প্রাণহানি বেড়ে ১২, আহত দুই শতাধিক Logo আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন: রাশেদ খাঁন Logo উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ভাই হারালেন বিক্রান্ত ম্যাসি

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন : শেখ হাসিনার পর দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন : শেখ হাসিনার পর দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর সত্য নয়। রোববার (১ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাদ্যম দ্য হিন্দুর প্রকাশিত তথ্যে বিষয়টি জানা গেছে।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাসিনার সরকারের পতনের পর দলে দলে মানুষের ভারতে পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে ঢোকার কোনো চেষ্টা হয়নি।

 

দ্য হিন্দু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে।
 
অরপরদিকে শেখ হাসিনার পতনের আগে এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। যার অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কোনো চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।
 
সব মিলিয়ে এ বছর অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় বিএসএফ ৩ হাজার ৯০৭ জনকে সীমান্ত থেকে আটক করেছে। যার মধ্যে ভারতীয় ও বাংলাদেশি উভয়ই আছে।
 
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৩ হাজার ১৩৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫ হাজার ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছিল।
 
অপরদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৩ জন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৮৮ জন ভারতীয় কোনো কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছে।
 
 
গত সপ্তাহে হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর ফের ভারতীয় মিডিয়া দাবি করে, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। যাদের অনেকে দেশ ছাড়ার চিন্তা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত চিন্ময় ইস্যু নিয়ে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে বিএসএফ। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
৭২ বার পড়া হয়েছে

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন : শেখ হাসিনার পর দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়

আপডেট সময় ১১:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন : শেখ হাসিনার পর দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর সত্য নয়। রোববার (১ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাদ্যম দ্য হিন্দুর প্রকাশিত তথ্যে বিষয়টি জানা গেছে।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাসিনার সরকারের পতনের পর দলে দলে মানুষের ভারতে পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে ঢোকার কোনো চেষ্টা হয়নি।

 

দ্য হিন্দু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে।
 
অরপরদিকে শেখ হাসিনার পতনের আগে এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। যার অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কোনো চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।
 
সব মিলিয়ে এ বছর অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় বিএসএফ ৩ হাজার ৯০৭ জনকে সীমান্ত থেকে আটক করেছে। যার মধ্যে ভারতীয় ও বাংলাদেশি উভয়ই আছে।
 
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৩ হাজার ১৩৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫ হাজার ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছিল।
 
অপরদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৩ জন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৮৮ জন ভারতীয় কোনো কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছে।
 
 
গত সপ্তাহে হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর ফের ভারতীয় মিডিয়া দাবি করে, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। যাদের অনেকে দেশ ছাড়ার চিন্তা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত চিন্ময় ইস্যু নিয়ে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে বিএসএফ।