ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo থানচিতে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সহায়তা Logo কেউ যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল Logo নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন Logo অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছেন কোহলিরা Logo যশোরে নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের ১২৫ নেতাকর্মী কারাগারে Logo আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দল নিয়ে নির্বাচন হবে, তারা ফিরবে বিচারের পর: আব্দুস সালাম Logo সারজিসের আশ্বাসে শাহবাগ ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দাবি Logo পরিবর্তন আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচিতে, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন Logo ইয়েমেনে দফায় দফায় বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের Logo ‘জনশক্তি’ নাম নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান সামান্তার

নতুন টাকা ছাপানো প্রসঙ্গে যা জানালেন গভর্নর

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

নতুন টাকা ছাপানো প্রসঙ্গে যা জানালেন গভর্নর।

গত ৩ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন টাকা ছাপানো হয়নি এবং হবেও না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

গভর্নর বলেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আমরা টাকা ছাপাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত (গত ৩ মাসে) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু দেয়া হয়নি এবং হবেও না। গত ১৫ বছর ধরে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে এখন কেনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
 
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও ৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্যোগ নেয়ার পর ১২ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ফেলার রেকর্ড বিশ্বের কোনো দেশেই নেই। আমরা কেবল ৩ মাস হলো শুরু করেছি। তবে তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে শুল্ক হ্রাসসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব।
 
 
কয়েকটি ব্যাংক এখনও ঠিক মতো গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সহায়তা করছে বলেও জানান আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, সব চেষ্টাই করা হচ্ছে। আশা করি ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে একটি ভালো ব্যাংকিং খাত দেখতে পারব। প্রথমে ১০টি ব্যাংকের সম্পদ হিসাবের অডিট করা হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলোরই করা হবে।
 
তিনি বলেন, বেক্সিমকো বন্ধ করতে নয়, সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোনো কোম্পানি বন্ধ করতে চাই না। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, অগ্রগতিও হয়েছে।
 
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যাংকিং ডেনসিটি বাংলাদেশে উল্লেখ করে গভর্নর আরও জানান, এক ব্রাঞ্চ থেকে আরেক ব্রাঞ্চের দূরত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোসহ বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে কাজ চলছে। 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
২৬ বার পড়া হয়েছে

নতুন টাকা ছাপানো প্রসঙ্গে যা জানালেন গভর্নর

আপডেট সময় ০৪:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

নতুন টাকা ছাপানো প্রসঙ্গে যা জানালেন গভর্নর।

গত ৩ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন টাকা ছাপানো হয়নি এবং হবেও না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

গভর্নর বলেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আমরা টাকা ছাপাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত (গত ৩ মাসে) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু দেয়া হয়নি এবং হবেও না। গত ১৫ বছর ধরে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে এখন কেনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
 
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও ৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্যোগ নেয়ার পর ১২ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ফেলার রেকর্ড বিশ্বের কোনো দেশেই নেই। আমরা কেবল ৩ মাস হলো শুরু করেছি। তবে তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে শুল্ক হ্রাসসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব।
 
 
কয়েকটি ব্যাংক এখনও ঠিক মতো গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সহায়তা করছে বলেও জানান আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, সব চেষ্টাই করা হচ্ছে। আশা করি ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে একটি ভালো ব্যাংকিং খাত দেখতে পারব। প্রথমে ১০টি ব্যাংকের সম্পদ হিসাবের অডিট করা হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলোরই করা হবে।
 
তিনি বলেন, বেক্সিমকো বন্ধ করতে নয়, সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোনো কোম্পানি বন্ধ করতে চাই না। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, অগ্রগতিও হয়েছে।
 
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যাংকিং ডেনসিটি বাংলাদেশে উল্লেখ করে গভর্নর আরও জানান, এক ব্রাঞ্চ থেকে আরেক ব্রাঞ্চের দূরত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোসহ বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে কাজ চলছে।