ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

নিউইয়র্ক নির্বাচনে জয় পেয়ে ভারতে বিতর্কের কেন্দ্রে জোহরান মামদানি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি : সংগৃহিত

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে বিজয় অর্জনের পর আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ রাজনীতিবিদ জোহরান মামদানি। ৩৩ বছর বয়সী এই প্রগতিশীল নেতা এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ভারতেও তীব্র আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

মামদানির মুসলিম পরিচয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতার কারণে ভারতের ডানপন্থী মহলে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি, ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির আহ্বান, গণপরিবহন ফ্রি করা, শিশু যত্নে সরকারি সহায়তার মতো বামপন্থী অবস্থানের কারণে ভারতীয় প্রগতিশীলদের মধ্যে তার প্রতি আগ্রহ ও সমর্থন বেড়েছে।

অনেকে মামদানিকে ভারতের আম আদমি পার্টি-র আদলে একটি ‘বিকল্প রাজনৈতিক কণ্ঠ’ হিসেবে দেখছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো তিনিও প্রচলিত রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করছেন।

সম্প্রতি বিদেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতাদের উত্থান যেমন উদযাপন করেছে ভারতের রক্ষণশীল মহল— উদাহরণস্বরূপ রিশি সুনাক— মামদানির ক্ষেত্রে বিষয়টি উল্টো। কারণ তিনি মুসলিম এবং ধর্মীয় পরিচয় গোপন না করে স্পষ্টভাবে নিজের মতাদর্শ প্রকাশ করেছেন, যা তাকে ভারতীয় রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

এমনকি কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিংভি এবং শিবসেনার মিলিন্দ দেওরাও তাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। দেওরা লিখেছেন, “অনেক মুম্বাইবাসী জানেন মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র হতে চলেছেন, কিন্তু মুম্বাইয়ের শেষ তিন মেয়রের নাম জানেন না।”

তবে বিশ্লেষকদের মতে, মামদানির জয় শুধুই একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর বার্তা — সিটি করপোরেশন বা নগর প্রশাসনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা।

এদিকে মার্কিন রাজনীতিতে মামদানির এই উত্থান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ নীতিমালায় প্রভাব ফেলতে পারে। কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করছেন, তার বামপন্থী অবস্থান হয়তো মধ্যপন্থী ভোটারদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে। অন্যদিকে, অনেকেই মনে করেন, রিপাবলিকানদের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ এর পাল্টা বার্তা হতে পারেন মামদানি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
২৭ বার পড়া হয়েছে

নিউইয়র্ক নির্বাচনে জয় পেয়ে ভারতে বিতর্কের কেন্দ্রে জোহরান মামদানি

আপডেট সময় ১০:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে বিজয় অর্জনের পর আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ রাজনীতিবিদ জোহরান মামদানি। ৩৩ বছর বয়সী এই প্রগতিশীল নেতা এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ভারতেও তীব্র আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

মামদানির মুসলিম পরিচয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতার কারণে ভারতের ডানপন্থী মহলে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি, ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির আহ্বান, গণপরিবহন ফ্রি করা, শিশু যত্নে সরকারি সহায়তার মতো বামপন্থী অবস্থানের কারণে ভারতীয় প্রগতিশীলদের মধ্যে তার প্রতি আগ্রহ ও সমর্থন বেড়েছে।

অনেকে মামদানিকে ভারতের আম আদমি পার্টি-র আদলে একটি ‘বিকল্প রাজনৈতিক কণ্ঠ’ হিসেবে দেখছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো তিনিও প্রচলিত রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করছেন।

সম্প্রতি বিদেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতাদের উত্থান যেমন উদযাপন করেছে ভারতের রক্ষণশীল মহল— উদাহরণস্বরূপ রিশি সুনাক— মামদানির ক্ষেত্রে বিষয়টি উল্টো। কারণ তিনি মুসলিম এবং ধর্মীয় পরিচয় গোপন না করে স্পষ্টভাবে নিজের মতাদর্শ প্রকাশ করেছেন, যা তাকে ভারতীয় রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

এমনকি কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিংভি এবং শিবসেনার মিলিন্দ দেওরাও তাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। দেওরা লিখেছেন, “অনেক মুম্বাইবাসী জানেন মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র হতে চলেছেন, কিন্তু মুম্বাইয়ের শেষ তিন মেয়রের নাম জানেন না।”

তবে বিশ্লেষকদের মতে, মামদানির জয় শুধুই একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর বার্তা — সিটি করপোরেশন বা নগর প্রশাসনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা।

এদিকে মার্কিন রাজনীতিতে মামদানির এই উত্থান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ নীতিমালায় প্রভাব ফেলতে পারে। কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করছেন, তার বামপন্থী অবস্থান হয়তো মধ্যপন্থী ভোটারদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে। অন্যদিকে, অনেকেই মনে করেন, রিপাবলিকানদের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ এর পাল্টা বার্তা হতে পারেন মামদানি।