ব্রেকিং নিউজ :
পাঠ্যবই ছাপানো দেড় হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ছিটেফোঁটাও শ্বেতপত্রে আসেনি!
পাঠ্যবই ছাপানো দেড় হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ছিটেফোঁটাও শ্বেতপত্রে আসেনি!
শেখ হাসিনা সরকারের শেষ ছয় বছরে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে দেড় হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলেও শ্বেতপত্রে আসেনি এর ছিটেফোঁটাও। লুটপাটের কারণে শিক্ষার্থীদের মানহীন বই পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেছে খোদ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, দুর্নীতিতে জড়িত বোর্ড কর্মকর্তারাই শ্বেতপত্র রচনার দায়িত্ব পাওয়ায় উঠে আসেনি প্রকৃত চিত্র। বই ছাপানোর ব্যস্ততা শেষে দুর্নীতির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার কথা জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
২০১০ সাল থেকে প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও বিনামূল্যের পাঠ্যবই পাচ্ছে। তবে এনসিটিবির বেঁধে দেয়া মানের তোয়াক্কা না করেই নিম্নমানের কাগজে ছাপানো হয় সব বই। সিন্ডিকেট লুটে নেয় কোটি কোটি টাকা।
শুধু ২০২৩ সালেই বই ছাপানোর কাজে ২৬৭ কোটির টাকার অনিয়ম পেয়েছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অধীন শিক্ষা অডিট অধিদফতর। ২০১৮ সাল থেকে ছয় বছরে লুটপাট হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্রে রহস্যজনকভাবে বই ছাপানোর কাজের এ অনিয়মের কোনো তথ্য নেই। টাকার অঙ্ক তো দূরের কথা, এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বই ছাপানোর দুর্নীতির খাতগুলোও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতিতে জড়িত বোর্ড কর্তারাই শ্বেতপত্র রচনার দায়িত্ব পাওয়ায় আড়ালেই থেকে গেছে হরিলুটের চিত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, যারা দুর্নীতি করে তারা কি তাদের দুর্নীতির কথা বলবে? যারা বই ছাপিয়েছে, তারাই শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এখানে তৃতীয় পক্ষ তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
কিছু বোর্ড কর্মকর্তা ও অসাধু ব্যবসায়ীর এ লুটপাটের কারণেই বছরের পর বছর মানহীন পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খোদ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান।
চলমান বই ছাপার কাজ শেষ হলে এ খাতে বিগত সরকারের আমলের দুর্নীতির বিষয়ে অধিকতর তদন্তের কথা জানিয়েছে এনসিটিবি। বোর্ডের কোনো কর্মকতা দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান।