ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের।

দেশের বাজারে অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পেঁয়াজ আমদানির ওপর কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। পেঁয়াজ আমদানিতে বর্তমানে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বলবৎ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ট্যারিফ কমিশন থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।


এর আগে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর দেয়া এক ঘোষণায় পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।


স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী মূল্য নিয়ন্ত্রণে পণ্যটির আমদানিতে শুল্ক হার পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে’ ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে পেঁয়াজের স্থানীয় চাহিদা ২৬-২৭ লাখ মেট্রিক টন।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে দেশের চাহিদার ৭৫-৮০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়। পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। সেখানে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকায় ভারত সরকার কর্তৃক পেঁয়াজ রফতানিতে নিরুৎসাহিত করেছে। ভারত সরকার বর্তমানে পেঁয়াজ রফতানিতে ২০ শতাংশ হারে রফতানি শুল্কারোপ করেছে। ফলে দেশে বেশি মূল্যে আমদানির কারণে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে অতিবৃষ্টির কারণে দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে দেশে সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়েছে। এর ফলস্বরূপ বর্তমানে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
 
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্য গত এক মাসে ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ও আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য গত এক বছরে ১১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রত্যাহার করে নেয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা সিডি আরোপিত আছে।
এ অবস্থায় ট্যারিফ কমিশন মনে করে, দেশে প্রয়োজনীয় চাহিদাপূরণ ও ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করা আবশ্যক। সে কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা সমীচীন হবে।
একইসঙ্গে আমদানি করা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে প্রবেশের পর বাজার ব্যবস্থাপনায় তা যথাযথভাবে মনিটরিং করারও সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
২২ বার পড়া হয়েছে

পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

আপডেট সময় ০৮:৪২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের।

দেশের বাজারে অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পেঁয়াজ আমদানির ওপর কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। পেঁয়াজ আমদানিতে বর্তমানে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বলবৎ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ট্যারিফ কমিশন থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।


এর আগে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর দেয়া এক ঘোষণায় পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।


স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী মূল্য নিয়ন্ত্রণে পণ্যটির আমদানিতে শুল্ক হার পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে’ ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে পেঁয়াজের স্থানীয় চাহিদা ২৬-২৭ লাখ মেট্রিক টন।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে দেশের চাহিদার ৭৫-৮০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়। পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। সেখানে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকায় ভারত সরকার কর্তৃক পেঁয়াজ রফতানিতে নিরুৎসাহিত করেছে। ভারত সরকার বর্তমানে পেঁয়াজ রফতানিতে ২০ শতাংশ হারে রফতানি শুল্কারোপ করেছে। ফলে দেশে বেশি মূল্যে আমদানির কারণে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে অতিবৃষ্টির কারণে দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে দেশে সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়েছে। এর ফলস্বরূপ বর্তমানে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
 
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্য গত এক মাসে ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ও আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য গত এক বছরে ১১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রত্যাহার করে নেয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা সিডি আরোপিত আছে।
এ অবস্থায় ট্যারিফ কমিশন মনে করে, দেশে প্রয়োজনীয় চাহিদাপূরণ ও ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করা আবশ্যক। সে কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা সমীচীন হবে।
একইসঙ্গে আমদানি করা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে প্রবেশের পর বাজার ব্যবস্থাপনায় তা যথাযথভাবে মনিটরিং করারও সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।