ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু

নিজস্ব সংবাদ :

ফাইল ছবি

গ্লোবাল স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানান।

ফয়েজ আহমদ লেখেন, “স্টারলিংক এখন অফিশিয়ালি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্টেও তা প্রকাশ করেছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছে— “রেসিডেন্স” ও “রেসিডেন্স লাইট”। রেসিডেন্স প্যাকেজের মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজের খরচ ৪২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন ৪৭ হাজার টাকা খরচে সরঞ্জাম (ডিভাইস) কিনতে হবে।

এই সেবা নিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, “এই ইন্টারনেট সার্ভিসে কোনো গতি বা ডেটা সীমাবদ্ধতা নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিডে আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকেই স্টারলিংকের সেবা অর্ডার করতে পারবেন। এটি ৯০ দিনের মধ্যে এই সেবার চালু করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেওয়া উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ মন্তব্য করেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উন্নত মানের এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যদিও এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে দেশের দুর্গম এবং অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের জন্য এটি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে উদ্যোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির সংযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
১২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

গ্লোবাল স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানান।

ফয়েজ আহমদ লেখেন, “স্টারলিংক এখন অফিশিয়ালি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্টেও তা প্রকাশ করেছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছে— “রেসিডেন্স” ও “রেসিডেন্স লাইট”। রেসিডেন্স প্যাকেজের মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজের খরচ ৪২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন ৪৭ হাজার টাকা খরচে সরঞ্জাম (ডিভাইস) কিনতে হবে।

এই সেবা নিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, “এই ইন্টারনেট সার্ভিসে কোনো গতি বা ডেটা সীমাবদ্ধতা নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিডে আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকেই স্টারলিংকের সেবা অর্ডার করতে পারবেন। এটি ৯০ দিনের মধ্যে এই সেবার চালু করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেওয়া উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ মন্তব্য করেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উন্নত মানের এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যদিও এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে দেশের দুর্গম এবং অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের জন্য এটি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে উদ্যোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির সংযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন।