মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি চেয়ারম্যানের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর পিএসসির অধীনে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আমরা দেখতে পেয়েছি, ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিসিএসকেন্দ্রিক যে পরিবর্তনের আশা ছিল তা পুরোপুরি পরিলক্ষিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে ৪৭তম বিসিএস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়নি। কবে নাগাদ প্রিলি অনুষ্ঠিত হতে পারে তার তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে এমন কোনো বিষয়ও উল্লেখ করা হয়নি। বিসিএসের সিলেবাস আধুনিকরণের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। প্রতিটি পরীক্ষার্থীর প্রিলি, রিটেন এবং ভাইভা পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
এ ছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় তিন মাসের বেশি সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে। সেশনজটের জন্য একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) হয়েও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অনেক শিক্ষার্থীকেই এই বিষয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এ অবস্থায় বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো:
১. ৪৭তম বিসিএস থেকে পরবর্তী সব বিসিএসের জন্য পিএসসিকে নিয়োগ ক্যালেন্ডার করতে হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সার্কুলার দিতে হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রিলি পরীক্ষা নিতে হবে। মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রিলির ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লিখিত ফলাফল নিতে হবে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ভাইবা শুরু করতে হবে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফাইনাল ফলাফল দিতে হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. নন ক্যাডারে নিয়োগ বিসিএসের নিয়োগের ২ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
৩. প্রতি পরীক্ষার্থীর প্রিলি, রিটেন ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করা। লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ রাখা।
৪. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ৪৭তম বিসিএসের অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সবাই যেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন সেজন্য অবতীর্ণ প্রার্থীর যোগ্যতা অর্জনের সময় ৩১.১২.২০২৪ থেকে বাড়িয়ে ২৮.০২.২০২৫ পর্যন্ত করা। আবেদনের সময় ৩১.১২.২০২৪ পর্যন্তই বহাল থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে সিভিল সার্ভিসে কাজ করা অনেক বড় একটি স্বপ্ন। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সবার প্রত্যাশা পিএসসির এই বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে সংস্কার আনবে।