ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাতা বাড়ল ৫ হাজার, প্রত্যাখান ট্রেইনি চিকিৎসক ও সারজিসের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ভাতা বাড়ল ৫ হাজার, প্রত্যাখান ট্রেইনি চিকিৎসক ও সারজিসের।

 

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলমও পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছেন।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা তাদের ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

এমন অবস্থায় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতার হার পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থবিভাগ।


এমন অবস্থায় ৩০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন দেশের ট্রেইনি এবং রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। ডক্টরস মুভমেন্ট অব জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে যতবার রাস্তাতে নামি ততবার পাঁচ হাজার টাকা বাড়ানো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি এবং প্রজ্ঞাপন আগুন দিয়ে পুড়িয়েছি।

তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা না করা হলে আগামী রোববার শাহবাগে মহাসমাবেশ করা হবে। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে।
 
 
এদিকে, ট্রেইনি চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে সরকারের পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম। আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজ ফেসবুক একাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

ওই পোস্টে তিনি লিখেন, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা মাত্র ৩০ হাজার টাকা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। এটা অন্তত ৪০ হাজার অথবা ৯ম গ্রেড সমমান হওয়া উচিত।

তিনি আরও লিখেন, ‘কোথায় কখন কতটুকু ইনভেস্ট করতে হবে সেটা যতদিন আমরা না বুঝবো ততদিন দেশের প্রত্যাশিত উন্নতি সম্ভব না। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।’
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
২ বার পড়া হয়েছে

ভাতা বাড়ল ৫ হাজার, প্রত্যাখান ট্রেইনি চিকিৎসক ও সারজিসের

আপডেট সময় ০৮:১৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাতা বাড়ল ৫ হাজার, প্রত্যাখান ট্রেইনি চিকিৎসক ও সারজিসের।

 

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলমও পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছেন।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা তাদের ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

এমন অবস্থায় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতার হার পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থবিভাগ।


এমন অবস্থায় ৩০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন দেশের ট্রেইনি এবং রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। ডক্টরস মুভমেন্ট অব জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে যতবার রাস্তাতে নামি ততবার পাঁচ হাজার টাকা বাড়ানো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি এবং প্রজ্ঞাপন আগুন দিয়ে পুড়িয়েছি।

তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা না করা হলে আগামী রোববার শাহবাগে মহাসমাবেশ করা হবে। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে।
 
 
এদিকে, ট্রেইনি চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে সরকারের পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম। আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজ ফেসবুক একাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

ওই পোস্টে তিনি লিখেন, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা মাত্র ৩০ হাজার টাকা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। এটা অন্তত ৪০ হাজার অথবা ৯ম গ্রেড সমমান হওয়া উচিত।

তিনি আরও লিখেন, ‘কোথায় কখন কতটুকু ইনভেস্ট করতে হবে সেটা যতদিন আমরা না বুঝবো ততদিন দেশের প্রত্যাশিত উন্নতি সম্ভব না। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।’