এদিন সকাল থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে প্রতিবাদী যৌথ পদযাত্রা ও ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়া কর্মসূচি উপলক্ষে ঢল নামে।
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ভারত সরকারকে সতর্কবার্তা দেয়া হলো জানিয়ে তিন সংগঠনের নেতারা বলেন, অবস্থান পরিবর্তন না করলে ভারতবিরোধী আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করে তারা বলছেন, ভারত উসকানি দিয়ে যতই অস্থির করার চেষ্টা করবে, বাংলাদেশ ততই ঐক্যবদ্ধ হবে।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে ভারত সবসময়ই আগ্রাসী ছিল বরং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভারতে তুলনায় অনেক বেশি। এ দেশের মুসলমানরা সংযম দেখিয়েছে। তবে ভারতের হিন্দুরা সংযম দেখায়নি।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, প্রতিবাদ লিপিতে আমরা উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সম্পদ বিনষ্ট করা হয়েছে, পতাকা পোড়ানো হয়েছে, এগুলো ভবিষ্যতে বন্ধ হতে হবে। ভারতের অবন্ধুসুলভ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
‘ভারত বাণিজ্যবৈষম্য সৃষ্টি করেছে। পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার পানি দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা কারও দয়ার নয়, জীবন ত্যাগ ও যুদ্ধের মাধ্যমে এই স্বাধীনতা এসেছে’, যোগ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনের দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেছেন এবং তারা আশা রাখছেন, এ রকম ঘটনা পুনরাবৃত্তি হবে না।
নয়পল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল শান্তিনগর মালিবাগ হয়ে রামপুর এসে পুলিশের অনুরোধে শেষ করা হয় পদযাত্রা। পরে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে যান ভারতীয় হাইকমিশনে।