ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক।

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই বাংলাদেশির জমি চাষে বিএসএফ বাঁধা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগামী ১৫ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ মাপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়।


পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক। অন্যদিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ডার রমেশ কুমার।


সাতক্ষীরার লক্ষীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন জানান, ভোমরা সংলগ্ন লক্ষীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লিজ নিয়ে চাষ করে আসছিল।  সেই জমিতে গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে বোরো ধান রোপণ করতে গেলে বিএসএফ তাকে ধান রোপণ করতে বাধা দেয়। ওই জমি ভারতীয় অংশের বলে আস্ফালনও করেন তারা। একপর্যায়ে তিনি ধানের চারা রোপণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন তিনি।
 

একই গ্রামের শাহীন গাজী জানান, আমার পিতা নজরুল গাজী বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় ১ বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার বিকেলে দুজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেয়। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করে। বিষয়টি ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোয় পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে।

পতাকা বৈঠকের পর ভোমরা বিজিবির সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে। আর আপত্তিকৃত জায়গায় আগামী ১৫ জানুয়ারি তারিখে উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
৮ বার পড়া হয়েছে

ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

আপডেট সময় ১০:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক।

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই বাংলাদেশির জমি চাষে বিএসএফ বাঁধা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগামী ১৫ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ মাপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়।


পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক। অন্যদিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ডার রমেশ কুমার।


সাতক্ষীরার লক্ষীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন জানান, ভোমরা সংলগ্ন লক্ষীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লিজ নিয়ে চাষ করে আসছিল।  সেই জমিতে গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে বোরো ধান রোপণ করতে গেলে বিএসএফ তাকে ধান রোপণ করতে বাধা দেয়। ওই জমি ভারতীয় অংশের বলে আস্ফালনও করেন তারা। একপর্যায়ে তিনি ধানের চারা রোপণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন তিনি।
 

একই গ্রামের শাহীন গাজী জানান, আমার পিতা নজরুল গাজী বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় ১ বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার বিকেলে দুজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেয়। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করে। বিষয়টি ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোয় পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে।

পতাকা বৈঠকের পর ভোমরা বিজিবির সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে। আর আপত্তিকৃত জায়গায় আগামী ১৫ জানুয়ারি তারিখে উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়।