ব্রেকিং নিউজ :
মানুষের ঢলে, সাগরের জলে হলো দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জনের আয়োজন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘বিজয়া সম্মেলন’। সবার অংশগ্রহণে ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষে হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এ সময় কক্সবাজার জেলা ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মণ্ডপ থেকে ট্রাকে যোগে আসতে শুরু করে প্রতিমা। একই সঙ্গে পর্যটক ও পূজারী এবং স্থানীয় দর্শনার্থীরা আসতে থাকে। বিকেল সাড়ে তিন টার আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠে জনস্রোতের স্থান। সেই জনস্রোত মিশে যায় সৈকতের উত্তরের শৈবাল, কবিতাচত্বর পয়েন্ট আর উত্তরের সী গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত।
লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে ঘিরে বালিয়াড়িতে একের পর এক রাখা হয় প্রতিমা।
প্রায় ৩ লাখ মানুষের সমাগমের মধ্যে বিকেল সাড়ে ৫ টায় সৈকতের ঢেউতে ‘মা দূর্গা কি, জয়’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। পরে একে একে ভাসিয়ে দেয়া হয় প্রতিমা।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, সৈকতে তিন লাখেরও বেশি মানুষের সমাগমের মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। যেখানে ৫০ টিরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখাল নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চের ‘বিজয়া সম্মেলন’-এ প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মাহফুজুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, এবি পার্টির জেলা যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক কায়সার, জামায়াত নেতা শহীদুল আলম বাহাদুর প্রমূখ।