ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাস্কের সমান সম্পদশালী হতে একজন চাকরিজীবীর কত বছর লাগবে?

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

মাস্কের সমান সম্পদশালী হতে একজন চাকরিজীবীর কত বছর লাগবে?

বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন ইলন মাস্ক। ইনফর্মা কানেক্ট একাডেমির এক গবেষণা অনুসারে, বর্তমান সম্পদ বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই মাস্কের সম্পদ এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে তিনিই হবেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার। মার্কিন এই ধনকুবেরকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই মানুষের। কিন্তু ইলন মাস্কের সমান সম্পদ গড়তে একজন সাধারণ বেতনভোগী মানুষের কত সময় লাগতে পারে?

ধন-সম্পদ ছাড়াও নানা ইস্যুতে প্রায়শই আলোচনায় থাকেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে ও তার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে সম্প্রতি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। ব্লুমবার্গ ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর হু হু করে বাড়ছে টেসলার সম্পদ। এর ফলে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন ইলন মাস্ক।

 

বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ইলন মাস্ক সোমবার (১১ নভেম্বর) ২১ বিলিয়ন ডলার লাভ করেছেন। এর কারণ টেসলার শেয়ার লাফিয়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে তার সম্পদের পরিমাণ এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ বিলিয়ন ডলারে।
 
ফোর্বস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের গড় বার্ষিক বেতন ৫৯ হাজার ৪২৮ ডলার। পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটির একজন সাধারণ নাগরিক যদি নিয়মিত কাজ করেন, তাহলেও মাস্কের সমান সম্পদ গড়তে তার সময় লাগবে তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ বছরেরও বেশি। 
 
যুক্তরাজ্যের কর্মজীবী জনসংখ্যার ওপর করা এক সমীক্ষার দাবি, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইলন মাস্ক পাঁচ মিনিটে যা উপার্জন করেন, তা করতে গড়ে একজন ব্যক্তির ১৭ সপ্তাহ এক ঘণ্টা সময় লাগবে। গবেষণাটি গাণিতিক মডেলিং টুল গিগা ক্যালকুলেটর ডটকমের (Gigacalculator.com) মাধ্যমে করা হয়। সমীক্ষাটি ১০ সর্বোচ্চ বেতনভোগী বসের আয় (ব্লুমবার্গের সিইও বেতন সূচক অনুসারে) পর্যবেক্ষণ করে, তাদের যুক্তরাজ্যের পূর্ণকালীন গড় বেতন ৩৫ হাজার ৪২৩ পাউন্ডের সঙ্গে তুলনা করে করা হয়েছে।
 
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে মাস্কের এত সম্পদ কীভাবে? এর উত্তর হলো তার সম্পদ প্রাথমিকভাবে আসে বিভিন্ন কোম্পানি যেমন টেসলা, স্পেসএক্স, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং দ্য বোরিং কোম্পানিতে তার শেয়ার থেকে।
 
৫৩ বছর ইলন বয়সী মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোট বয়সেই তার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতিভা দেখা যায়। তিনি ছোটবেলাতেই মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘরে তৈরি চকলেট ‘ইস্টার ডিম’ বিক্রি করেছেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই প্রথম কম্পিউটার গেম তৈরি করেন মাস্ক।
 
 
পড়াশোনা চলাকালীন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ঝরে পড়েন মাস্ক। এরপর ১৯৯০ সালে ‘ডটকম বুম’- এর সময় দুটি প্রযুক্তি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠা করেন। তার অনলাইন ব্যাঙ্কিং কোম্পানি যেটি পরবর্তীতে ‘পে পাল’ হয়ে ওঠে, ২০০২ সালে সেটি ১.৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে নেয় ‘ই বে’।
 
দুই বছর আগে টুইটার কিনে নেন মাস্ক। পরবর্তীতে টুইটারের নাম পাল্টে রাখেন এক্স। এরপর থেকেই প্ল্যাটফর্মটিতে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৯৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে।
 
সূত্র: এনডিটিভি 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
২৪ বার পড়া হয়েছে

মাস্কের সমান সম্পদশালী হতে একজন চাকরিজীবীর কত বছর লাগবে?

আপডেট সময় ০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মাস্কের সমান সম্পদশালী হতে একজন চাকরিজীবীর কত বছর লাগবে?

বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন ইলন মাস্ক। ইনফর্মা কানেক্ট একাডেমির এক গবেষণা অনুসারে, বর্তমান সম্পদ বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই মাস্কের সম্পদ এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে তিনিই হবেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার। মার্কিন এই ধনকুবেরকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই মানুষের। কিন্তু ইলন মাস্কের সমান সম্পদ গড়তে একজন সাধারণ বেতনভোগী মানুষের কত সময় লাগতে পারে?

ধন-সম্পদ ছাড়াও নানা ইস্যুতে প্রায়শই আলোচনায় থাকেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে ও তার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে সম্প্রতি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। ব্লুমবার্গ ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর হু হু করে বাড়ছে টেসলার সম্পদ। এর ফলে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন ইলন মাস্ক।

 

বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ইলন মাস্ক সোমবার (১১ নভেম্বর) ২১ বিলিয়ন ডলার লাভ করেছেন। এর কারণ টেসলার শেয়ার লাফিয়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে তার সম্পদের পরিমাণ এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ বিলিয়ন ডলারে।
 
ফোর্বস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের গড় বার্ষিক বেতন ৫৯ হাজার ৪২৮ ডলার। পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটির একজন সাধারণ নাগরিক যদি নিয়মিত কাজ করেন, তাহলেও মাস্কের সমান সম্পদ গড়তে তার সময় লাগবে তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ বছরেরও বেশি। 
 
যুক্তরাজ্যের কর্মজীবী জনসংখ্যার ওপর করা এক সমীক্ষার দাবি, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইলন মাস্ক পাঁচ মিনিটে যা উপার্জন করেন, তা করতে গড়ে একজন ব্যক্তির ১৭ সপ্তাহ এক ঘণ্টা সময় লাগবে। গবেষণাটি গাণিতিক মডেলিং টুল গিগা ক্যালকুলেটর ডটকমের (Gigacalculator.com) মাধ্যমে করা হয়। সমীক্ষাটি ১০ সর্বোচ্চ বেতনভোগী বসের আয় (ব্লুমবার্গের সিইও বেতন সূচক অনুসারে) পর্যবেক্ষণ করে, তাদের যুক্তরাজ্যের পূর্ণকালীন গড় বেতন ৩৫ হাজার ৪২৩ পাউন্ডের সঙ্গে তুলনা করে করা হয়েছে।
 
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে মাস্কের এত সম্পদ কীভাবে? এর উত্তর হলো তার সম্পদ প্রাথমিকভাবে আসে বিভিন্ন কোম্পানি যেমন টেসলা, স্পেসএক্স, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং দ্য বোরিং কোম্পানিতে তার শেয়ার থেকে।
 
৫৩ বছর ইলন বয়সী মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোট বয়সেই তার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতিভা দেখা যায়। তিনি ছোটবেলাতেই মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘরে তৈরি চকলেট ‘ইস্টার ডিম’ বিক্রি করেছেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই প্রথম কম্পিউটার গেম তৈরি করেন মাস্ক।
 
 
পড়াশোনা চলাকালীন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ঝরে পড়েন মাস্ক। এরপর ১৯৯০ সালে ‘ডটকম বুম’- এর সময় দুটি প্রযুক্তি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠা করেন। তার অনলাইন ব্যাঙ্কিং কোম্পানি যেটি পরবর্তীতে ‘পে পাল’ হয়ে ওঠে, ২০০২ সালে সেটি ১.৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে নেয় ‘ই বে’।
 
দুই বছর আগে টুইটার কিনে নেন মাস্ক। পরবর্তীতে টুইটারের নাম পাল্টে রাখেন এক্স। এরপর থেকেই প্ল্যাটফর্মটিতে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৯৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে।
 
সূত্র: এনডিটিভি