ব্রেকিং নিউজ :
মেজর জলিলকে বীরত্বসূচক খেতাব দিতে হবে: রব
মেজর জলিলকে বীরত্বসূচক খেতাব দিতে হবে: রব।
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ৯ এর সেক্টর কমান্ডার বীর সিপাহশালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
শুক্রবার ( ২২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
রব বলেন, মেজর জলিল এ দেশের অকুতোভয় সাহসী সন্তান, যিনি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠার পথে পা না বাড়িয়ে একটি নিশ্চিত, নিরাপদ এবং উজ্জ্বল জীবন ছুঁড়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর খুলনা সীমান্ত দিয়ে দেশের সম্পদ পাচারের তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেজর জলিলকে গ্রেফতার করা হয় এবং কার্যত নজরবন্দি রাখা হয়। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম রাজবন্দি।
১৯৭২ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি বন্দিদশা থেকে তিনি মুক্তি পান বলে উল্লেখ করে জেএসডি সভাপতি বলেন, পরে স্বাধীন দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার দেশপ্রেম ও প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার হীনস্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী লড়াইয়ের অবদানের কোনো প্রকার স্বীকৃতি মেজর জলিলকে প্রদান করেনি। একমাত্র ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছাড়া সব সেক্টর কমান্ডারকে বীরউত্তম খেতাব প্রদান করা হয়।
মেজর জলিলের মতো লড়াকু সৈনিককে তার প্রাপ্য বীরত্বপূর্ণ খেতাব না দেয়া সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য কলঙ্কমূলক দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন রব।
তিনি আরও বলেন, মেজর জলিল স্বাধীনতা যুদ্ধের উষালগ্ন থেকেই রণাঙ্গনে অংশ নেন এবং ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সাফল্যে বীরত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দেন।
গত ৫৩ বছর ধরে এ কলঙ্কের দায়মোচনের উদ্যোগ কোনো সরকারই গ্রহণ করেনি বলে উল্লেখ করে জেএসডি সভাপতি বলেন, এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মেজর জলিলকে মরণোত্তর ‘বীরউত্তম’ খেতাব প্রদান করে দায়মোচনপূর্বক সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
ট্যাগস :
bangla news bangladesh desh desh 24 desh 24 live desh live মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা