ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেটাকে তলব করতে পারে ভারত, কারণ কী

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

মেটাকে তলব করতে পারে ভারত, কারণ কী।

ভারতের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গের এক মন্তব্যের জেরে মেটা কর্তৃপক্ষকে তলব করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি।

 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ খবর দেয়া হয়েছে।

 

এনডিটিভির প্রতিবেদন মতে, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য তার মেটাকে নেতৃত্বাধীন কমিটির সামনে তলব করা হবে।
 
তিনি আরও বলেছেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ালে সেটা ওই দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে। এই ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ভারতের সংসদ এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
 
 
বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)। ওই দিন এক পডকাস্টে সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর ব্যাপারে জনমনে আস্থা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কথা প্রসঙ্গে ভারতের উদাহরণও দেন তিনি।
 
জাকারবার্গ বলেন, ‘২০২৪ বিশ্বজুড়ে একটি খুব বড় নির্বাচনী বছর ছিল এবং ভারতসহ বহু দেশে নির্বাচন হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা মূলত প্রতিটি নির্বাচনে হেরে গেছে। এটা এক ধরণের বৈশ্বিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়।’
 
মেটা প্রধান আরও বলেন, ‘সেটা মুদ্রাস্ফীতির কারণে হোক বা কোভিড মোকাবেলার অর্থনৈতিক নীতির কারণে হোক বা সরকারের কোভিড মোকাবেলার পদ্ধতির কারণে হোক; বিশ্বব্যাপী একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান করা যায়।’
 
 
জাকারবার্গের এই মন্তব্যে এরই মধ্যে সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ‘ভুল সংশোধন’ করে দিয়ে এক এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘জাকারবার্গ দাবি করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের ২০২৪ সালের নির্বাচনসহ বেশিরভাগ দেশে ক্ষমতাসীন সরকার হেরে গেছে। এটি তথ্যগতভাবে ভুল।’
 
অশ্বিনী আরও লেখেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছে। মোদিজি টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নজির গড়েছেন। জাকারবার্গের মতো ব্যক্তির এমন ভুল তথ্য দেয়ার ঘটনা হতাশাজনক।’ 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

মেটাকে তলব করতে পারে ভারত, কারণ কী

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

মেটাকে তলব করতে পারে ভারত, কারণ কী।

ভারতের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গের এক মন্তব্যের জেরে মেটা কর্তৃপক্ষকে তলব করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি।

 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ খবর দেয়া হয়েছে।

 

এনডিটিভির প্রতিবেদন মতে, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য তার মেটাকে নেতৃত্বাধীন কমিটির সামনে তলব করা হবে।
 
তিনি আরও বলেছেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ালে সেটা ওই দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে। এই ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ভারতের সংসদ এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
 
 
বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)। ওই দিন এক পডকাস্টে সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর ব্যাপারে জনমনে আস্থা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কথা প্রসঙ্গে ভারতের উদাহরণও দেন তিনি।
 
জাকারবার্গ বলেন, ‘২০২৪ বিশ্বজুড়ে একটি খুব বড় নির্বাচনী বছর ছিল এবং ভারতসহ বহু দেশে নির্বাচন হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা মূলত প্রতিটি নির্বাচনে হেরে গেছে। এটা এক ধরণের বৈশ্বিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়।’
 
মেটা প্রধান আরও বলেন, ‘সেটা মুদ্রাস্ফীতির কারণে হোক বা কোভিড মোকাবেলার অর্থনৈতিক নীতির কারণে হোক বা সরকারের কোভিড মোকাবেলার পদ্ধতির কারণে হোক; বিশ্বব্যাপী একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান করা যায়।’
 
 
জাকারবার্গের এই মন্তব্যে এরই মধ্যে সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ‘ভুল সংশোধন’ করে দিয়ে এক এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘জাকারবার্গ দাবি করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের ২০২৪ সালের নির্বাচনসহ বেশিরভাগ দেশে ক্ষমতাসীন সরকার হেরে গেছে। এটি তথ্যগতভাবে ভুল।’
 
অশ্বিনী আরও লেখেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছে। মোদিজি টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নজির গড়েছেন। জাকারবার্গের মতো ব্যক্তির এমন ভুল তথ্য দেয়ার ঘটনা হতাশাজনক।’