ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo থানচিতে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সহায়তা Logo কেউ যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল Logo নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন Logo অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছেন কোহলিরা Logo যশোরে নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের ১২৫ নেতাকর্মী কারাগারে Logo আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দল নিয়ে নির্বাচন হবে, তারা ফিরবে বিচারের পর: আব্দুস সালাম Logo সারজিসের আশ্বাসে শাহবাগ ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দাবি Logo পরিবর্তন আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচিতে, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন Logo ইয়েমেনে দফায় দফায় বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের Logo ‘জনশক্তি’ নাম নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান সামান্তার

মোদির বিতর্কিত পোস্ট: মু‌ক্তিযুদ্বের ‘ইতিহাসের তথ্য’ তুলে ধ‌রলো সরকার

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

মোদির বিতর্কিত পোস্ট: মু‌ক্তিযুদ্বের ‘ইতিহাসের তথ্য’ তুলে ধ‌রলো সরকার।

এবারের বিজয় দিবসের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত পোস্টকে কেন্দ্র ক‌রে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধ‌রে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে এ বিবৃতি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ৯ মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ সহ্য করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড: ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে তার বইয়ে, প্রাক্তন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জেএন দীক্ষিত লিখেছেন, ‘আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ডের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল যৌথ কমান্ডের বাংলাদেশ পক্ষের কমান্ডার জেনারেল এমএজি ওসমানির উপস্থিতি নিশ্চিত এবং স্বাক্ষরকারী করতে ব্যর্থতা।

তার অনুপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল কিন্তু আত্মসমর্পণের সময়সূচির অনুযায়ী সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু ব্যাপক সন্দেহ ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি ভুল পথে পাঠানো হয়েছিল যাতে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারেন এবং অনুষ্ঠানে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের ওপর নিবদ্ধ হয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্যুতি ছিল যা ভারত এড়াতে পারতো। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানির উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন অনেক রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারতো।

১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি, আমরা সত্য উদযাপন করি।

গত সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডে‌লে করা পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেন, আজ, বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মোৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।

তার এই পোস্টটিতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একাত্তরের বিজয়কে দাবি করা হয় ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
৭ বার পড়া হয়েছে

মোদির বিতর্কিত পোস্ট: মু‌ক্তিযুদ্বের ‘ইতিহাসের তথ্য’ তুলে ধ‌রলো সরকার

আপডেট সময় ০৯:২০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মোদির বিতর্কিত পোস্ট: মু‌ক্তিযুদ্বের ‘ইতিহাসের তথ্য’ তুলে ধ‌রলো সরকার।

এবারের বিজয় দিবসের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত পোস্টকে কেন্দ্র ক‌রে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধ‌রে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে এ বিবৃতি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ৯ মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ সহ্য করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড: ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে তার বইয়ে, প্রাক্তন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জেএন দীক্ষিত লিখেছেন, ‘আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ডের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল যৌথ কমান্ডের বাংলাদেশ পক্ষের কমান্ডার জেনারেল এমএজি ওসমানির উপস্থিতি নিশ্চিত এবং স্বাক্ষরকারী করতে ব্যর্থতা।

তার অনুপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল কিন্তু আত্মসমর্পণের সময়সূচির অনুযায়ী সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু ব্যাপক সন্দেহ ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি ভুল পথে পাঠানো হয়েছিল যাতে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারেন এবং অনুষ্ঠানে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের ওপর নিবদ্ধ হয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্যুতি ছিল যা ভারত এড়াতে পারতো। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানির উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন অনেক রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারতো।

১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি, আমরা সত্য উদযাপন করি।

গত সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডে‌লে করা পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেন, আজ, বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মোৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।

তার এই পোস্টটিতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একাত্তরের বিজয়কে দাবি করা হয় ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’।