ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় চীনের বিশেষ মেডিকেল টিম Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকিরের ফিউনারেল প্যারেড ও জানাজা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান নয় — জানাল আইএসপিআর Logo মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা Logo উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা: উদ্ধার তৎপরতা আপাতত শেষ, পুনরায় শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে Logo “নিজের কাছেই ব্যর্থ, পরিবারগুলিকে কী বলব?”—বিমানের দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়লেন ইউনূস Logo উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২০, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭১ জন

রতন টাটার ৩৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তির কে কী পেল?

নিজস্ব সংবাদ :

২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর প্রয়াত হন ভারতের কিংবদন্তি শিল্পপতি রতন টাটা। সেই থেকেই আলোচনায় থেকেছে তার উইল। রতন টাটার দানশীলতার কথা সবারই জানা। তার উইলেও যেন মিললো তারই প্রমাণ।

 

টাটার ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখের উইলে তার সম্পদ বণ্টনের রূপরেখা দেয়া হয়েছে। সেখানে রতন টাটা তার প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তির বড় অংশই দান করেছেন ‘রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন’ এবং ‘রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্ট’-এর মাধ্যমে।

 

এই দুটিই দাতব্য সংস্থা। অর্থাৎ দানকৃত এই বিপুল অর্থ এবার এই দুই সংস্থা ব্যবহার করবে সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পে। উইলেও উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো অপ্রাপ্ত শেয়ার বা সম্পত্তিও এই দাতব্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
 
বরাবরই দানশীল হিসেবে পরিচিত রতন টাটা। বিভিন্ন দাতব্য কাজের জন্য তিনি তৈরি করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন। একই উদ্দেশ্যে তৈরি রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্টও। এবার জানা গেল বিপুল দানকৃত অর্থ ওই দুই সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। 
 
রতন টাটা তার সম্পত্তির একটি বড় অংশ দান করলেও, পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কর্মী এবং প্রিয় পোষ্য- কাউকেই বঞ্চিত করেননি। 
 
গত ৯ অক্টোবর ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় বর্ষীয়ান এই শিল্পপতির। কেবল একজন ব্যবসায়ী নন, ছিলেন নতুন পথের দিশারী। টাটা গোষ্ঠীকে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা। 
আর কেবল যদি ভারতের কথাই হয়, লবণ থেকে মোটরগাড়ি – একজন ভারতীয় নাগরিকের প্রতিদিনের জীবনে কাছের ‘বন্ধু’ টাটা। টাটা গোষ্ঠীর পণ্যের প্রতি এই আস্থা বা বিশ্বাস জাগানো রতন টাটার জীবনের অন্যতম সাফল্য। 
এরই ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছিল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য। পাশাপাশি বহু জনহিতৈষী কাজেও নিজেকে আজীবন বেধে রেখেছিলেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি, ইকোনমিক টাইমস, সংবাদ প্রতিদিন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
৭৩ বার পড়া হয়েছে

রতন টাটার ৩৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তির কে কী পেল?

আপডেট সময় ০৬:২১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর প্রয়াত হন ভারতের কিংবদন্তি শিল্পপতি রতন টাটা। সেই থেকেই আলোচনায় থেকেছে তার উইল। রতন টাটার দানশীলতার কথা সবারই জানা। তার উইলেও যেন মিললো তারই প্রমাণ।

 

টাটার ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখের উইলে তার সম্পদ বণ্টনের রূপরেখা দেয়া হয়েছে। সেখানে রতন টাটা তার প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তির বড় অংশই দান করেছেন ‘রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন’ এবং ‘রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্ট’-এর মাধ্যমে।

 

এই দুটিই দাতব্য সংস্থা। অর্থাৎ দানকৃত এই বিপুল অর্থ এবার এই দুই সংস্থা ব্যবহার করবে সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পে। উইলেও উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো অপ্রাপ্ত শেয়ার বা সম্পত্তিও এই দাতব্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
 
বরাবরই দানশীল হিসেবে পরিচিত রতন টাটা। বিভিন্ন দাতব্য কাজের জন্য তিনি তৈরি করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন। একই উদ্দেশ্যে তৈরি রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্টও। এবার জানা গেল বিপুল দানকৃত অর্থ ওই দুই সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। 
 
রতন টাটা তার সম্পত্তির একটি বড় অংশ দান করলেও, পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কর্মী এবং প্রিয় পোষ্য- কাউকেই বঞ্চিত করেননি। 
 
গত ৯ অক্টোবর ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় বর্ষীয়ান এই শিল্পপতির। কেবল একজন ব্যবসায়ী নন, ছিলেন নতুন পথের দিশারী। টাটা গোষ্ঠীকে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা। 
আর কেবল যদি ভারতের কথাই হয়, লবণ থেকে মোটরগাড়ি – একজন ভারতীয় নাগরিকের প্রতিদিনের জীবনে কাছের ‘বন্ধু’ টাটা। টাটা গোষ্ঠীর পণ্যের প্রতি এই আস্থা বা বিশ্বাস জাগানো রতন টাটার জীবনের অন্যতম সাফল্য। 
এরই ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছিল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য। পাশাপাশি বহু জনহিতৈষী কাজেও নিজেকে আজীবন বেধে রেখেছিলেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি, ইকোনমিক টাইমস, সংবাদ প্রতিদিন