ভ্যাকসিনটি বেশ কয়েকটি গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ সহযোগিতায় উন্নত করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, এটি ২০২৫ সালের প্রথম দিকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়া হবে।
ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে গামলেয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির পরিচালক আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ বার্তা সংস্থা তাসকে জানিয়েছেন, ‘পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন টিউমারের বিকাশ এবং সম্ভাব্য মেটাস্টেসগুলোকে দমন করে রাখে, ছড়াতে দেয় না।’
এমআরএনএ ভ্যাকসিন কী
এমআরএনএ বা মেসেঞ্জার-আরএনএ ভ্যাকসিন সংক্রামক এজেন্টের নির্দিষ্ট অংশ যেমন এর প্রোটিন, চিনি বা আবরণ ব্যবহার করে। এমআরএনএ ভ্যাকসিন আমাদের কোষকে একটি প্রোটিন বা এমনকি একটি প্রোটিনের টুকরো তৈরি করার জন্য বার্তা দেয় যা ভাইরাসের মতোই দেখতে। প্রোটিন তখন আমাদের দেহের অভ্যন্তরে একটি প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করে; যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
এআই কি সাহায্য করতে পারে?
এর আগে, তাস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ বলেছিলেন যে, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের ব্যবহার একটি ব্যক্তিগত ক্যান্সারের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটিং করতে এক ঘন্টারও কম সময় লাগতে পারে।
রাশিয়ার ভ্যাকসিন প্রধান আন্দ্রে কাপ্রিন বলেন, ‘এখন ব্যক্তিগত ভ্যাকসিন তৈরি করতে বেশ দীর্ঘ সময় লাগে; কারণ গাণিতিক ভাষায় একটি ভ্যাকসিন, বা কাস্টমাইজড এমআরএনএ কীভাবে ম্যাট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে তার কম্পিউটিং’ করা হয়। আমরা ইভানিকভ ইনস্টিটিউটকে যুক্ত করেছি যা এটি করতে এআই’র (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) উপর নির্ভর করবে। মানে নিউরাল নেটওয়ার্ক কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে এই পদ্ধতিগুলো প্রায় আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হবে।’
সূত্র:এনডিটিভি