ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় চীনের বিশেষ মেডিকেল টিম Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকিরের ফিউনারেল প্যারেড ও জানাজা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান নয় — জানাল আইএসপিআর Logo মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা Logo উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা: উদ্ধার তৎপরতা আপাতত শেষ, পুনরায় শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে Logo “নিজের কাছেই ব্যর্থ, পরিবারগুলিকে কী বলব?”—বিমানের দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়লেন ইউনূস Logo উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২০, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭১ জন

শারীরিক সৌন্দর্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সকালে যে ব্যায়াম করবেন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

নিয়মিত একটি সহজ ব্যায়ামের অনুশীলনই বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। এমনটাই মনে করছেন ইয়োগা বিশেষজ্ঞরা। তাই সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য ঘুম থেকে উঠেই সকালে নিয়মিত একটি সহজ ব্যায়াম অনুশীলন করতে পারেন।

 

জিমনেশিয়াম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটি সহজ ব্যায়ামকে নিয়মিত অনুশীলনের জন্য বেছে নিতে পারেন। এতে করে শুধু শারীরিক সৌন্দর্যই নিশ্চিত হবে না। পাশাপাশি নিশ্চিত হবে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি।

 

সকালে ঘুম থেকে উঠে সহজ যে ব্যায়মটিকে নিয়মিত অনুশীলনের জন্য বেছে নেবেন সেটি হলো বজ্রাসন। বিভিন্ন আসনের মধ্যে এ আসনটি সবচেয়ে সহজ আসন।
 
বজ্রাসন অনুশীলনরে নিয়ম: প্রথমে শুয়ে পড়ে ধীরে ধীরে আপনার দুটি পা ওপরে তুলুন। এবার হাত দুটো কনুইয়ের কাছ থেকে ভেঙে কোমরের দু’পাশে ধরুন এবং কনুইয়ের ওপরে জোর দিয়ে কোমর ও পা সোজা অবস্থায় ওপরে তুলে নিয়ে আসুন। ৯০ ডিগ্রি পজিশনে উঁচু করা পায়ের বুড়ো আঙুল মাথা বরাবর থাকবে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে এভাবে দিনে তিনবার অনুশীলন করুন।
 
এ আসন অনুশীলন করার পর একবার করে শবাসন করার নিয়ম রয়েছে।
 
শবাসন: সবচেয়ে সহজ আসন মনে হলেও শবাসন করতে মানসিক স্থিরতার প্রয়োজন। চিত হয়ে শুয়ে পা দুটি লম্বা করে ছড়িয়ে দিন। দুটি হাত শরীরের দু’পাশে শরীরসংলগ্ন রাখুন। হাতের তালু দুটি শিথিল করে রাখুন। চোখ বন্ধ করুন। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে মরার মতো পড়ে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। এতে মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে।
 
 
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এই আসনগুলো অনুশীলনের অভ্যাস গড়ে তুললে যেসব উপকার মিলবে সেগুলো হলো-
১। শরীরে কোনও নেতিবাচক চাপ পড়বে না।
২। রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে তোলে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
৩। নিয়মিত বজ্রাসনে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং গোড়া শক্ত হয়। এর ফলে চুল সহজে ঝরে পড়ে না। বরং আগের তুলনায় হয় লম্বা, ঘন আরও মজবুত হয়।
৪। জয়েন্টের ব্যথা দূর হয়।
৫। কোমর, কাঁধ, হাঁটু ও গোড়ালি দৃঢ় হয়।
৬। পায়ের পাতার অসাড়তা রোধ করে।
৭। হজমশক্তি বাড়ায়।
৮। অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
৯। মনের প্রশান্তি বাড়ায়।
১০। আথ্রাইটিস হওয়ার শঙ্কা কমে যায়।
১১। অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে তোলে যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
১৬২ বার পড়া হয়েছে

শারীরিক সৌন্দর্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সকালে যে ব্যায়াম করবেন

আপডেট সময় ০৮:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

নিয়মিত একটি সহজ ব্যায়ামের অনুশীলনই বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। এমনটাই মনে করছেন ইয়োগা বিশেষজ্ঞরা। তাই সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য ঘুম থেকে উঠেই সকালে নিয়মিত একটি সহজ ব্যায়াম অনুশীলন করতে পারেন।

 

জিমনেশিয়াম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটি সহজ ব্যায়ামকে নিয়মিত অনুশীলনের জন্য বেছে নিতে পারেন। এতে করে শুধু শারীরিক সৌন্দর্যই নিশ্চিত হবে না। পাশাপাশি নিশ্চিত হবে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি।

 

সকালে ঘুম থেকে উঠে সহজ যে ব্যায়মটিকে নিয়মিত অনুশীলনের জন্য বেছে নেবেন সেটি হলো বজ্রাসন। বিভিন্ন আসনের মধ্যে এ আসনটি সবচেয়ে সহজ আসন।
 
বজ্রাসন অনুশীলনরে নিয়ম: প্রথমে শুয়ে পড়ে ধীরে ধীরে আপনার দুটি পা ওপরে তুলুন। এবার হাত দুটো কনুইয়ের কাছ থেকে ভেঙে কোমরের দু’পাশে ধরুন এবং কনুইয়ের ওপরে জোর দিয়ে কোমর ও পা সোজা অবস্থায় ওপরে তুলে নিয়ে আসুন। ৯০ ডিগ্রি পজিশনে উঁচু করা পায়ের বুড়ো আঙুল মাথা বরাবর থাকবে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে এভাবে দিনে তিনবার অনুশীলন করুন।
 
এ আসন অনুশীলন করার পর একবার করে শবাসন করার নিয়ম রয়েছে।
 
শবাসন: সবচেয়ে সহজ আসন মনে হলেও শবাসন করতে মানসিক স্থিরতার প্রয়োজন। চিত হয়ে শুয়ে পা দুটি লম্বা করে ছড়িয়ে দিন। দুটি হাত শরীরের দু’পাশে শরীরসংলগ্ন রাখুন। হাতের তালু দুটি শিথিল করে রাখুন। চোখ বন্ধ করুন। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে মরার মতো পড়ে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। এতে মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে।
 
 
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এই আসনগুলো অনুশীলনের অভ্যাস গড়ে তুললে যেসব উপকার মিলবে সেগুলো হলো-
১। শরীরে কোনও নেতিবাচক চাপ পড়বে না।
২। রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে তোলে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
৩। নিয়মিত বজ্রাসনে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং গোড়া শক্ত হয়। এর ফলে চুল সহজে ঝরে পড়ে না। বরং আগের তুলনায় হয় লম্বা, ঘন আরও মজবুত হয়।
৪। জয়েন্টের ব্যথা দূর হয়।
৫। কোমর, কাঁধ, হাঁটু ও গোড়ালি দৃঢ় হয়।
৬। পায়ের পাতার অসাড়তা রোধ করে।
৭। হজমশক্তি বাড়ায়।
৮। অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
৯। মনের প্রশান্তি বাড়ায়।
১০। আথ্রাইটিস হওয়ার শঙ্কা কমে যায়।
১১। অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে তোলে যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।