ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাফজয়ী দলের অনেকেরই ইউরোপে খেলার যোগ্যতা আছে: বাটলার

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সাফজয়ী দলের অনেকেরই ইউরোপে খেলার যোগ্যতা আছে: বাটলার।

সাফজয়ী নারী দলের অনেকেরই যোগ্যতা আছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলার। পরবর্তী ধাপে যেতে নিয়মিত খেলার সুযোগ নিশ্চিতের পাশাপাশি, ঘরোয়া ফুটবলের মান বাড়ানোর পরামর্শ কোচ পিটার বাটলারের। নারী দলের সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হওয়ায় সামনে আর সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক নন এই ইংলিশ। ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পরই। প্রধান উপদেষ্টার আতিথেয়তা পেয়েও উচ্ছ্বসিত এই ব্রিটিশ।

নারী ফুটবলের প্রথম সাফ এসেছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে। এবার নেপাল যাওয়ার আগেও সাবিনারা বলে যেতে পারেননি, শিরোপা হাতে নিয়েই ফিরবেন। কিন্তু হিমালয়ের দেশে ইতিহাস গড়েছে বাংলার জয়িতারা। নারী ফুটবলের সোনালী এই অধ্যায়ে বড় করে লেখা থাকবে একজন ইংলিশ ম্যানের নাম। তিনি আর কেউ নন, জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার।

 

এলিট একাডেমির কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসলেও বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের অনুরোধেই নারী দলের হাল ধরেন এই অভিজ্ঞ কোচ। যে দলটাকে নিয়ে অনেকে আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তাদের জিতিয়েছেন সাফের শিরোপা। অবশ্য পথটা সহজ ছিল না। তবে কোনো কৃতিত্ব নিতে চান না এই ইংলিশ ম্যান। জানান পালন করেছেন নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব।
 
সংবাদ মাধ্যমকে পিটার বাটলার বলেন, ‘আমি এলিট একাডেমির কোচ হয়ে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু সালাহউদ্দিন ও মিস কিরণ আমাকে বলেন নারী দলের দায়িত্ব নিতে। আমি তাদের না করিনি। নারী দলের প্রত্যেকটা ফুটবলারই অনেক প্রতিভাবান। তারা দুর্দান্ত খেলেছে। আমি শুধু আমাকে দেয়া দায়িত্বটাই পালন করেছি।’
 
 
এবারের সাফে পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন ঋতুপর্ণা-মনিকারা। তবে পুরো টুর্নামেন্টে বাটলারের তুরুপের তাস ছিলেন ডিফেন্ডার আফেইদা খন্দকার। তবে নারী ফুটবল নিয়ে আর কাজ করতে চান না এই কোচ। বাফুফের সঙ্গে চুক্তি শেষের পথে। নতুন সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবেন নিজের ভবিষ্যত।’
 
ইংলিশ কোচ বলেন, ‘ঋতুপর্ণা-মনিকাদের স্কিল দুর্দান্ত। তবে আফেইদা খন্দকারের নাম খুব বেশি সামনে আসেনি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সে দুর্দান্ত খেলেছে, সলিড রক ডিফেন্ডার। এই দলের অনেকেই ইউরোপে খেলার যোগ্যতা রাখে। তবে তাদের নিয়মিত খেলার মধ্যে রাখতে হবে। উন্নত লিগ আয়োজন করতে হবে। আমি নারী দলের সঙ্গে আর কাজ করতে চাই না। বাফুফের সঙ্গে আমার চুক্তিও শেষের দিকে। নতুন সভাপতির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে আমি চুক্তি নবায়ন করব কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
 
 
গুঞ্জন আছে দুই মাস ধরে বেতন পান না পিটার বাটলার। তবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি। জানান বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে ফেডারেশনকে। নোবেলে বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে উচ্ছ্বসিত বাটলার।
 
তিনি বলেন, ‘এমন সমস্যা হতেই পারে। বেতন দিতে দুই একমাস দেরি হওয়াটা তেমন কিছু না। এটা সাধারণ একটা বিষয়, এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমি দেখেছি এ দেশের মানুষ ফুটবলের কঠিন ভক্ত। ফুটবল উন্নয়নে ফেডারেশনকেই ভূমিকা রাখাতে হবে। ড. ইউনূস অসাধারণ একজন মানুষ। তার সঙ্গে কথা বলেছি। আপনি যখন তখন একজন নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। এটা আমার সৌভাগ্য।’
 
টুর্নামেন্ট চলাকালীন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে কোচের মনোমালিন্যের বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না সাফজয়ী এই কোচ। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
১১ বার পড়া হয়েছে

সাফজয়ী দলের অনেকেরই ইউরোপে খেলার যোগ্যতা আছে: বাটলার

আপডেট সময় ০৬:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

সাফজয়ী দলের অনেকেরই ইউরোপে খেলার যোগ্যতা আছে: বাটলার।

সাফজয়ী নারী দলের অনেকেরই যোগ্যতা আছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলার। পরবর্তী ধাপে যেতে নিয়মিত খেলার সুযোগ নিশ্চিতের পাশাপাশি, ঘরোয়া ফুটবলের মান বাড়ানোর পরামর্শ কোচ পিটার বাটলারের। নারী দলের সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হওয়ায় সামনে আর সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক নন এই ইংলিশ। ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পরই। প্রধান উপদেষ্টার আতিথেয়তা পেয়েও উচ্ছ্বসিত এই ব্রিটিশ।

নারী ফুটবলের প্রথম সাফ এসেছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে। এবার নেপাল যাওয়ার আগেও সাবিনারা বলে যেতে পারেননি, শিরোপা হাতে নিয়েই ফিরবেন। কিন্তু হিমালয়ের দেশে ইতিহাস গড়েছে বাংলার জয়িতারা। নারী ফুটবলের সোনালী এই অধ্যায়ে বড় করে লেখা থাকবে একজন ইংলিশ ম্যানের নাম। তিনি আর কেউ নন, জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার।

 

এলিট একাডেমির কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসলেও বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের অনুরোধেই নারী দলের হাল ধরেন এই অভিজ্ঞ কোচ। যে দলটাকে নিয়ে অনেকে আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তাদের জিতিয়েছেন সাফের শিরোপা। অবশ্য পথটা সহজ ছিল না। তবে কোনো কৃতিত্ব নিতে চান না এই ইংলিশ ম্যান। জানান পালন করেছেন নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব।
 
সংবাদ মাধ্যমকে পিটার বাটলার বলেন, ‘আমি এলিট একাডেমির কোচ হয়ে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু সালাহউদ্দিন ও মিস কিরণ আমাকে বলেন নারী দলের দায়িত্ব নিতে। আমি তাদের না করিনি। নারী দলের প্রত্যেকটা ফুটবলারই অনেক প্রতিভাবান। তারা দুর্দান্ত খেলেছে। আমি শুধু আমাকে দেয়া দায়িত্বটাই পালন করেছি।’
 
 
এবারের সাফে পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন ঋতুপর্ণা-মনিকারা। তবে পুরো টুর্নামেন্টে বাটলারের তুরুপের তাস ছিলেন ডিফেন্ডার আফেইদা খন্দকার। তবে নারী ফুটবল নিয়ে আর কাজ করতে চান না এই কোচ। বাফুফের সঙ্গে চুক্তি শেষের পথে। নতুন সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবেন নিজের ভবিষ্যত।’
 
ইংলিশ কোচ বলেন, ‘ঋতুপর্ণা-মনিকাদের স্কিল দুর্দান্ত। তবে আফেইদা খন্দকারের নাম খুব বেশি সামনে আসেনি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সে দুর্দান্ত খেলেছে, সলিড রক ডিফেন্ডার। এই দলের অনেকেই ইউরোপে খেলার যোগ্যতা রাখে। তবে তাদের নিয়মিত খেলার মধ্যে রাখতে হবে। উন্নত লিগ আয়োজন করতে হবে। আমি নারী দলের সঙ্গে আর কাজ করতে চাই না। বাফুফের সঙ্গে আমার চুক্তিও শেষের দিকে। নতুন সভাপতির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে আমি চুক্তি নবায়ন করব কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
 
 
গুঞ্জন আছে দুই মাস ধরে বেতন পান না পিটার বাটলার। তবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি। জানান বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে ফেডারেশনকে। নোবেলে বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে উচ্ছ্বসিত বাটলার।
 
তিনি বলেন, ‘এমন সমস্যা হতেই পারে। বেতন দিতে দুই একমাস দেরি হওয়াটা তেমন কিছু না। এটা সাধারণ একটা বিষয়, এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমি দেখেছি এ দেশের মানুষ ফুটবলের কঠিন ভক্ত। ফুটবল উন্নয়নে ফেডারেশনকেই ভূমিকা রাখাতে হবে। ড. ইউনূস অসাধারণ একজন মানুষ। তার সঙ্গে কথা বলেছি। আপনি যখন তখন একজন নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। এটা আমার সৌভাগ্য।’
 
টুর্নামেন্ট চলাকালীন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে কোচের মনোমালিন্যের বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না সাফজয়ী এই কোচ।