ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo হাত-পা অতিরিক্ত ঘামে? জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার Logo পূর্ব কঙ্গোর গির্জায় ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ২১ জন Logo চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর ভোকাল রাতুল আর নেই Logo গ্রিসে ইসরায়েলি পর্যটকের কানে হামলা, অভিযুক্ত সিরীয় নাগরিক Logo ‘জুলাই বিপ্লব শুধু অতীত নয়, এটি চলমান সংগ্রাম’ Logo দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এখন সময়ের দাবি: ফখরুল Logo গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল Logo নাহিদ ইসলামের দাবি: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর

সাবেক জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট কোহলার মারা গেছেন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সাবেক জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট কোহলার মারা গেছেন।

জার্মানির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হর্স্ট কোহলার মারা গেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের অফিস তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদন মতে, জার্মান প্রেসিডেন্টের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সাময়িক অসুস্থতা ভোগের পর শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৮১ বছর বয়সে মারা যান হর্স্ট কোহলার।

 

কোহলার ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত আইএমএফ এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
 
কোহলার ১৯৪৩ সালে পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কেটেছে। এরপর বাডেন-উয়ের্টেমবার্গের লুডউইসবার্গে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
 
 
অর্থনীতিতে বিশেষ দক্ষ এবং ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য কোহলার সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোহলের অধীনে উপ-অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে কমিউনিস্ট শাসন পতনের পর পশ্চিম জার্মানির মুদ্রা মার্ক পূর্ব জার্মানিতে প্রচলনের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
 
প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোহলার সরকারের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে দ্বিধা করেননি। ২০০৫ সালে তিনি নতুন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। ২০০৭ সালে তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বায়নের জন্য জার্মানিকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
 
তবে দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছর পর এক রেডিও সাক্ষাৎকারের জেরে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন এই রাজনীতিক। ওই সাক্ষাৎকারে জার্মান সেনাবাহিনীর বিদেশি সামরিক অভিযানের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।
 
 
তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তুলনামূলকভাবে কম বিখ্যাত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জনপ্রিয়তা জরিপে দ্রুত জার্মানির অন্যতম প্রিয় নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
 
কোহলারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার। দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতির সক্ষমতার পাশাপাশি জনগণের সৃজনশীলতা ও উদ্যমের প্রতি গভীর আস্থা রাখতেন কোহলার। এই বিশ্বাসের জোরেই এত মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১ বার পড়া হয়েছে

সাবেক জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট কোহলার মারা গেছেন

আপডেট সময় ০৮:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাবেক জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট কোহলার মারা গেছেন।

জার্মানির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হর্স্ট কোহলার মারা গেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের অফিস তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদন মতে, জার্মান প্রেসিডেন্টের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সাময়িক অসুস্থতা ভোগের পর শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৮১ বছর বয়সে মারা যান হর্স্ট কোহলার।

 

কোহলার ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত আইএমএফ এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
 
কোহলার ১৯৪৩ সালে পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কেটেছে। এরপর বাডেন-উয়ের্টেমবার্গের লুডউইসবার্গে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
 
 
অর্থনীতিতে বিশেষ দক্ষ এবং ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য কোহলার সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোহলের অধীনে উপ-অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে কমিউনিস্ট শাসন পতনের পর পশ্চিম জার্মানির মুদ্রা মার্ক পূর্ব জার্মানিতে প্রচলনের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
 
প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোহলার সরকারের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে দ্বিধা করেননি। ২০০৫ সালে তিনি নতুন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। ২০০৭ সালে তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বায়নের জন্য জার্মানিকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
 
তবে দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছর পর এক রেডিও সাক্ষাৎকারের জেরে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন এই রাজনীতিক। ওই সাক্ষাৎকারে জার্মান সেনাবাহিনীর বিদেশি সামরিক অভিযানের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।
 
 
তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তুলনামূলকভাবে কম বিখ্যাত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জনপ্রিয়তা জরিপে দ্রুত জার্মানির অন্যতম প্রিয় নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
 
কোহলারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার। দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতির সক্ষমতার পাশাপাশি জনগণের সৃজনশীলতা ও উদ্যমের প্রতি গভীর আস্থা রাখতেন কোহলার। এই বিশ্বাসের জোরেই এত মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।