ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা Logo গোপালগঞ্জে যুদ্ধ করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না: নাহিদ ইসলাম Logo প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে গোপালগঞ্জে নিহতদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সিরিয়ায় আইডিএফ’র হামলা নিয়ে প্রশ্ন: ইসরায়েলের অভিযান থামবে কোথায়? Logo ভারতে অবস্থানকারী অতিথিদের প্রসঙ্গে মমতা: ‘আ.লীগ নেতাদের আশ্রয় দিয়েছে মোদি সরকার’ Logo সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন না বুঝলে রাজনীতি ছাড়ার আহ্বান নুরের Logo জামায়াতের জনসভা সামনে রেখে বিশেষ ট্রেন চালু, নিয়মভঙ্গ হয়নি বলে জানাল রেলওয়ে Logo কর্মসংস্থানের সংকট ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo গোপালগঞ্জে কারফিউর সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে Logo যুক্তরাষ্ট্রকে তীব্র আক্রমণ, ইসরায়েলকে ‘বাঁধা কুকুর’ বললেন খামেনি

সিরিয়ায় আইডিএফ’র হামলা নিয়ে প্রশ্ন: ইসরায়েলের অভিযান থামবে কোথায়?

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি : সংগৃহিত

প্রায় দুই বছর আগে গাজা উপত্যকায় যে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল ইসরায়েল, তার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীর, লেবানন, ইয়েমেন, ইরান এবং এখন সিরিয়ায়। যদিও অতীতে সিরিয়ায় বিচ্ছিন্ন হামলার নজির রয়েছে, এবার সে দেশেও আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) বড় পরিসরের অভিযান শুরু করেছে—দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার অজুহাত তুলে।

সাম্প্রতিক এই হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ভবন আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যা সরাসরি সম্প্রচারিত টেলিভিশন ফিডে দেখা গেছে। শুধু রাজধানী দামেস্ক নয়, সিরিয়ার আরও কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকাও ইসরায়েলি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ নামে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান ক্রমে আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিচ্ছে। সিরিয়ায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপ সেই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ সংযোজন। এর আগে যেভাবে পশ্চিম তীরেও দখল, গুলি এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, তা এখন সিরিয়াতেও প্রতিফলিত হচ্ছে।

লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৈরুতসহ একাধিক শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও পরবর্তী চুক্তির মাধ্যমে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে, কিন্তু হামলা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

ইসরায়েলি হামলা থেকে রেহাই পায়নি ইয়েমেনও। গাজার পরিস্থিতির প্রতিবাদে হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের জবাবে আইডিএফ রাজধানী সানাসহ নানা জায়গায় বিমান হামলা চালায়। এতে নারী ও শিশুসহ বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান।

চলতি বছরের জুন মাসে ইরানও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। টানা ১২ দিনের সংঘর্ষে প্রায় ৯০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে জানা গেছে। এমনকি ইরাকেও কয়েক দফায় হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েলের একের পর এক আগ্রাসী তৎপরতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে—নেতানিয়াহু সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য কোন দেশ? এ অঞ্চলে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শেষ কোথায়?

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
৮ বার পড়া হয়েছে

সিরিয়ায় আইডিএফ’র হামলা নিয়ে প্রশ্ন: ইসরায়েলের অভিযান থামবে কোথায়?

আপডেট সময় ০৯:৩১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

প্রায় দুই বছর আগে গাজা উপত্যকায় যে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল ইসরায়েল, তার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীর, লেবানন, ইয়েমেন, ইরান এবং এখন সিরিয়ায়। যদিও অতীতে সিরিয়ায় বিচ্ছিন্ন হামলার নজির রয়েছে, এবার সে দেশেও আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) বড় পরিসরের অভিযান শুরু করেছে—দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার অজুহাত তুলে।

সাম্প্রতিক এই হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ভবন আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যা সরাসরি সম্প্রচারিত টেলিভিশন ফিডে দেখা গেছে। শুধু রাজধানী দামেস্ক নয়, সিরিয়ার আরও কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকাও ইসরায়েলি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ নামে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান ক্রমে আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিচ্ছে। সিরিয়ায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপ সেই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ সংযোজন। এর আগে যেভাবে পশ্চিম তীরেও দখল, গুলি এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, তা এখন সিরিয়াতেও প্রতিফলিত হচ্ছে।

লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৈরুতসহ একাধিক শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও পরবর্তী চুক্তির মাধ্যমে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে, কিন্তু হামলা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

ইসরায়েলি হামলা থেকে রেহাই পায়নি ইয়েমেনও। গাজার পরিস্থিতির প্রতিবাদে হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের জবাবে আইডিএফ রাজধানী সানাসহ নানা জায়গায় বিমান হামলা চালায়। এতে নারী ও শিশুসহ বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান।

চলতি বছরের জুন মাসে ইরানও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। টানা ১২ দিনের সংঘর্ষে প্রায় ৯০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে জানা গেছে। এমনকি ইরাকেও কয়েক দফায় হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েলের একের পর এক আগ্রাসী তৎপরতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে—নেতানিয়াহু সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য কোন দেশ? এ অঞ্চলে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শেষ কোথায়?