ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ছুটিতে পাঠানো বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন Logo সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জুলাই ৩৬ বিশ্বদ্যিালয়’ রাখার প্রস্তাব Logo রাজনৈতিক দল গঠন বা পদত্যাগের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা নাহিদ Logo জুলাই বিপ্লব: ময়নাতদন্তে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি Logo যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত যত বিমান দুর্ঘটনা Logo টিকটকে লাইভের সময় গুলি করা হয় কোরআন পোড়ানো মোমিকাকে Logo বাটলার কোচ থাকলে গণ অবসরের হুঁশিয়ারি নারী ফুটবলারদের Logo রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা Logo দুদকের মামলায় সাবেক এমপি মিজানুরের ৮ বছরের কারাদণ্ড Logo হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামিদের আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি

হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামিদের আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামিদের আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি।

তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ আসামির ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এতে ৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ঠিক করেছেন।

 

শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের ওই রায়কে প্রতিহিংসাপরায়ন সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
 
 
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে ফাঁসি ও ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

 

তিনি আরও বলেন,এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। মামলা চলাকালীন পাঁচ আসামি মারা গেছেন। ১৯৯৪ সালে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা।

ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন তিনি। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 
জানা যায়, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড দেয়া হয়। িপরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:১০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামিদের আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি

আপডেট সময় ১০:১০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামিদের আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি।

তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ আসামির ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এতে ৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ঠিক করেছেন।

 

শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের ওই রায়কে প্রতিহিংসাপরায়ন সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
 
 
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে ফাঁসি ও ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

 

তিনি আরও বলেন,এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। মামলা চলাকালীন পাঁচ আসামি মারা গেছেন। ১৯৯৪ সালে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা।

ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন তিনি। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 
জানা যায়, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড দেয়া হয়। িপরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।