মোবাইল ফোন সেবায় নতুন করে কর হার বাড়লো। সম্পুরক শুল্ক আরও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে করে পরোক্ষভাবে গ্রাহকের সেবার খরচও বৃদ্ধি পাবে। এমন একটি সময়ে কর বাড়ানো হলো, যখন দেশে নিত্যপণ্য ও সেবার দাম চড়া। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি।
ভয়েস ও ইন্টারনেটের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবহারকারীরা হতাশ। অন্যদিকে, খাত সংশ্লিষ্টদের অভিমত, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কর হারে জর্জরিত বাংলাদেশের টেলিকম খাত। নতুন করে কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, মোবাইল ফোন সেবায় নতুন করে শুল্ক আরোপের ফলে সরকারের কোষাগারে সরাসরি যাবে ৫৬ টাকার বেশি। এর বাইরে আরও আছে তরঙ্গ ফি, লাইসেন্স ও অন্যান্য ফি। নতুন কর হারের নেতিবাচক প্রভাবে ব্যবহার কমে যাওয়ার আশঙ্কা মোবাইল অপারেটরদের। তাদের ধারণা, পরোক্ষভাবে রাজস্ব আদায় আরও হ্রাস পাবে পাবে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদুল আলম বলেন, ১০০ টাকায় সরকারের আয় হচ্ছে ৫৪ টাকা। যেটা এখন ৫৬ টাকার থেকে বেশি হবে। এখন এ খাত থেকে সরকারের আয় কমে যাবে। কারণ, মানুষের বা আমাদের ব্যবহারকারীদের খরচের যে অভ্যাস তারা একই খরচের মধ্যেই থাকার চেষ্টা করে। তাই সরকারের আয় বাড়বে এটা কিন্তু সত্য না।
নতুন করে কর আরোপ না করতে ইতোমধ্যে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
চিঠিতে বলা হয়, সাত মাস আগে এ খাতে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এখন নতুন করে বাড়তি ৩ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় একদিকে গ্রাহককে বাড়তি খরচ গুণতে হবে। অন্যদিকে, এ খাতের প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, খরচ বাড়লে ব্যবহার কমবে। কারণ, মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা খাদ্যের ওপর গুরুত্ব দেবে নাকি ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করবে। অবশ্যই তাদের অগ্রাধিকার অন্য জায়গায় থাকবে। আমি দেখতেছি, সবমিলিয়ে আমাদের দেশে ডিজিটাল লিটারেসি কমে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বরে মুঠোফোন অপারেটরদের সক্রিয় সিম ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ।