ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ করছে টাস্কফোর্স, প্রয়োজন নেই আলাদা কমিশনের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ করছে টাস্কফোর্স, প্রয়োজন নেই আলাদা কমিশনের।

পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে টাস্কফোর্স কাজ করছে জানিয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এজন্য আলাদা কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই।

রোববার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।


উপদেষ্টা জানান, বাজারে স্বস্তি ফেরাতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) ও কৃষি বিপণন অধিদফতর কাজ করছে। এর সঙ্গে বেশ কিছু বেসরকারি উদ্যোগও রয়েছে।
 
ঢাকার বাইরেও টিসিবির আওতা বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির আওতা আরও বাড়ানো হবে। বেসরকারিভাবে যারা কম মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করবে।
 
এ সময় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সরকারের বড় অগ্রাধিকার জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে টাস্কফোর্স কাজ করছে। এজন্য আলাদা কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই।
 
তিনি আরও বলেন, অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ জন্য কারিগরি সহায়তা দরকার। তবে কবে নাগাদ টাকা ফেরত আসবে সুনির্দিষ্টভাবে এখনই বলা যাবে না। টাস্কফোর্স কাজ করছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে।
 
পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে। এতে সদস্য হিসেবে মনোনীত হবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের একজন করে উপযুক্ত প্রতিনিধি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
১৭ বার পড়া হয়েছে

পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ করছে টাস্কফোর্স, প্রয়োজন নেই আলাদা কমিশনের

আপডেট সময় ০২:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ করছে টাস্কফোর্স, প্রয়োজন নেই আলাদা কমিশনের।

পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে টাস্কফোর্স কাজ করছে জানিয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এজন্য আলাদা কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই।

রোববার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।


উপদেষ্টা জানান, বাজারে স্বস্তি ফেরাতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) ও কৃষি বিপণন অধিদফতর কাজ করছে। এর সঙ্গে বেশ কিছু বেসরকারি উদ্যোগও রয়েছে।
 
ঢাকার বাইরেও টিসিবির আওতা বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির আওতা আরও বাড়ানো হবে। বেসরকারিভাবে যারা কম মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করবে।
 
এ সময় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সরকারের বড় অগ্রাধিকার জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে টাস্কফোর্স কাজ করছে। এজন্য আলাদা কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই।
 
তিনি আরও বলেন, অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ জন্য কারিগরি সহায়তা দরকার। তবে কবে নাগাদ টাকা ফেরত আসবে সুনির্দিষ্টভাবে এখনই বলা যাবে না। টাস্কফোর্স কাজ করছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে।
 
পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে। এতে সদস্য হিসেবে মনোনীত হবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের একজন করে উপযুক্ত প্রতিনিধি।