ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, কবে আঘাত আনবে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‌‌‘ডানা’?

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, কবে আঘাত আনবে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‌‌‘ডানা’?

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আবহাওয়ার সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ডানা’।

 

এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপকূলে আঘাত আনতে পারে।
 
তিনি আরও জানান, এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে এবং পশ্চিমবঙ্গের মেদিনিপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় এটি আঘাত  আনতে পারে। এ সময় জোয়ার থাকলে উপকূল এলাকায় সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।
 
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে ডানা স্থলভাগে উঠে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ হিসেবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত আনতে পারে।
 
মোস্তফা কামাল পলাশ জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি গত ২৪ ঘণ্টায় শক্তি অর্জন করে সোমবার বিকেল ৪টার সময় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। বিকেল ৪টার সময় সুস্পষ্ট লঘুচাপটির কেন্দ্র প্রায় ১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপরে অবস্থান করছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটির কেন্দ্রের চারপাশে বায়ুর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার।
 
 
আগামী ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে সরাসরি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
  

জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাব্য উচ্চতা

 

জোয়ারের সময় ডানা স্থলভাগে উঠলে সাতক্ষীরা, খুলনা, ও বাগেরহাট জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আর ভাটার সময় হলে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলায় জেয়ারের সময় ৫ থেকে ৬ ফুট বেশি এবং ভাটায় ১ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
 
অন্যদিকে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে জোয়ারের সময় ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি ও ভাটায় ২ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া কক্সবাজারে জোয়ারের বেলায় ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি এবং ভাটায় ১ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
১৯ বার পড়া হয়েছে

৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, কবে আঘাত আনবে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‌‌‘ডানা’?

আপডেট সময় ০৭:০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, কবে আঘাত আনবে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‌‌‘ডানা’?

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আবহাওয়ার সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ডানা’।

 

এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপকূলে আঘাত আনতে পারে।
 
তিনি আরও জানান, এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে এবং পশ্চিমবঙ্গের মেদিনিপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় এটি আঘাত  আনতে পারে। এ সময় জোয়ার থাকলে উপকূল এলাকায় সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।
 
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে ডানা স্থলভাগে উঠে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ হিসেবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত আনতে পারে।
 
মোস্তফা কামাল পলাশ জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি গত ২৪ ঘণ্টায় শক্তি অর্জন করে সোমবার বিকেল ৪টার সময় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। বিকেল ৪টার সময় সুস্পষ্ট লঘুচাপটির কেন্দ্র প্রায় ১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপরে অবস্থান করছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটির কেন্দ্রের চারপাশে বায়ুর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার।
 
 
আগামী ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে সরাসরি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
  

জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাব্য উচ্চতা

 

জোয়ারের সময় ডানা স্থলভাগে উঠলে সাতক্ষীরা, খুলনা, ও বাগেরহাট জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আর ভাটার সময় হলে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলায় জেয়ারের সময় ৫ থেকে ৬ ফুট বেশি এবং ভাটায় ১ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
 
অন্যদিকে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে জোয়ারের সময় ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি ও ভাটায় ২ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া কক্সবাজারে জোয়ারের বেলায় ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি এবং ভাটায় ১ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।