ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর মুখেও ছাড়েননি বন্ধুর হাত, পুলে ডুবেই গেলেন ৩ তরুণী

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

মৃত্যুর মুখেও ছাড়েননি বন্ধুর হাত, পুলে ডুবেই গেলেন ৩ তরুণী ।

সাঁতার না জেনেও সুইমিং পুলে নেমেছিলেন এক তরুণী। তাকে ডুবতে দেখে ঝাঁপ দেন তার এক বান্ধবী। কিন্তু সে-ও বিপাকে পড়েন। এরপর তাদের বাঁচাতে নেমে পড়েন আরও এক তরুণী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিনজনেরই।

রোববার (১৭ নভেম্বর) মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরের একটি রিসোর্টে।

 

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, প্রাণ হারানো ওই তিন তরুণীর নাম নিশিতা এম.ডি (২১), পার্বতী এস. (২০) এবং কীরথানা এন. (২১)। তারা সবাই ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
 
প্রতিবেদন মতে, ওই তরুণীরা ‘ভাজকো’ বিচ রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা গত ১৬ নভেম্বর চেক-ইন করেন। 
 
 
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাঁতার না জানা সত্ত্বেও নিশিতা পুলে নামেন। তাকে ডুবতে দেখে পার্বতী তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও তিনিও বিপদে পড়েন। তখন কীরথানা তার বন্ধুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনজনই শেষ পর্যন্ত ডুবে যায়।
 
পুলিশ বলছে,  

সেখানে কোনো লাইফগার্ড ছিল না এবং নিহতদের কেউই সাঁতার জানতেন না।

 

রিসোর্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই তরুণীরা পুলে হাবুডুবু খাচ্ছে এবং সাহায্য চাইছে। তবে ঘটনার সময় পুলের কাছাকাছি রিসোর্টের কোনো কর্মীকে দেখা যায়নি। 
 
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়াল। মৃত্যুর বিষয়টিকে ‘দুর্ঘটনাজনিত’ বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এছাড়া ওই রিসোর্টে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন তিনি। 
 
 
এদিকে, এই ঘটনায় ম্যাঙ্গালুরুর উল্লাল পুলিশ ইতোমধ্যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ওই রিসোর্টের মালিক বলে জানা গেছে।
 
এই ঘটনায় উল্লাল পুলিশের কাছে যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে তদন্ত নেমেই প্রাথমিকভাবে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএস-এর ১০৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে এবং প্রয়োজনে ধৃতদের বিরুদ্ধে আরও ধারা প্রয়োগ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৫১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
২৪ বার পড়া হয়েছে

মৃত্যুর মুখেও ছাড়েননি বন্ধুর হাত, পুলে ডুবেই গেলেন ৩ তরুণী

আপডেট সময় ০৫:৫১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

মৃত্যুর মুখেও ছাড়েননি বন্ধুর হাত, পুলে ডুবেই গেলেন ৩ তরুণী ।

সাঁতার না জেনেও সুইমিং পুলে নেমেছিলেন এক তরুণী। তাকে ডুবতে দেখে ঝাঁপ দেন তার এক বান্ধবী। কিন্তু সে-ও বিপাকে পড়েন। এরপর তাদের বাঁচাতে নেমে পড়েন আরও এক তরুণী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিনজনেরই।

রোববার (১৭ নভেম্বর) মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরের একটি রিসোর্টে।

 

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, প্রাণ হারানো ওই তিন তরুণীর নাম নিশিতা এম.ডি (২১), পার্বতী এস. (২০) এবং কীরথানা এন. (২১)। তারা সবাই ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
 
প্রতিবেদন মতে, ওই তরুণীরা ‘ভাজকো’ বিচ রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা গত ১৬ নভেম্বর চেক-ইন করেন। 
 
 
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাঁতার না জানা সত্ত্বেও নিশিতা পুলে নামেন। তাকে ডুবতে দেখে পার্বতী তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও তিনিও বিপদে পড়েন। তখন কীরথানা তার বন্ধুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনজনই শেষ পর্যন্ত ডুবে যায়।
 
পুলিশ বলছে,  

সেখানে কোনো লাইফগার্ড ছিল না এবং নিহতদের কেউই সাঁতার জানতেন না।

 

রিসোর্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই তরুণীরা পুলে হাবুডুবু খাচ্ছে এবং সাহায্য চাইছে। তবে ঘটনার সময় পুলের কাছাকাছি রিসোর্টের কোনো কর্মীকে দেখা যায়নি। 
 
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়াল। মৃত্যুর বিষয়টিকে ‘দুর্ঘটনাজনিত’ বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এছাড়া ওই রিসোর্টে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন তিনি। 
 
 
এদিকে, এই ঘটনায় ম্যাঙ্গালুরুর উল্লাল পুলিশ ইতোমধ্যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ওই রিসোর্টের মালিক বলে জানা গেছে।
 
এই ঘটনায় উল্লাল পুলিশের কাছে যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে তদন্ত নেমেই প্রাথমিকভাবে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএস-এর ১০৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে এবং প্রয়োজনে ধৃতদের বিরুদ্ধে আরও ধারা প্রয়োগ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস