ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রিকেট খেলার সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ক্রিকেট খেলার সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু।

ক্রিকেট খেলার সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ মেহেদী হাসান সিয়াম নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস।


মেহেদী হাসান সিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীনগর গ্রামে।


মেহদীর সহপাঠী, শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলার সময় নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটার সিয়াম হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। পরে তিনি পানি পান করতে চান। এ সময় তার অন্য খেলোয়াড়রা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। 

একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিয়াম নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে আমাদের চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুঝতে পারেন হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবার ও শিক্ষকদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ‘হৃদরোগজনিত’ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। বাদ এশা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নেয়া হবে।’
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রিকেট খেলার সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রিকেট খেলার সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু।

ক্রিকেট খেলার সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ মেহেদী হাসান সিয়াম নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস।


মেহেদী হাসান সিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীনগর গ্রামে।


মেহদীর সহপাঠী, শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলার সময় নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটার সিয়াম হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। পরে তিনি পানি পান করতে চান। এ সময় তার অন্য খেলোয়াড়রা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। 

একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিয়াম নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে আমাদের চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুঝতে পারেন হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবার ও শিক্ষকদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ‘হৃদরোগজনিত’ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। বাদ এশা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নেয়া হবে।’